৯ দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র, সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে চীন

বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চীন পারমাণবিক অস্ত্র ও অস্ত্রাগার সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে, দেশটি পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন ও অস্ত্র-সরঞ্জামের আধুনিকীকরণ অব্যাহত রেখেছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।

পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন ও অস্ত্র-সরঞ্জামের আধুনিকীকরণ অব্যাহত রেখেছে চীন

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) পরিচালক ড্যান স্মিথ সোমবার এএফপিকে বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা হ্রাসে কাজ করছি। ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র এই নয়টি দেশ পারমাণবিক শক্তির অধিকারী।

তিনি বলেন, দেশগুলোর মোট পারমাণবিক অস্ত্রের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৭১০টি। ২০২৩ সালের শুরুতে যা দাঁড়ায় ১২ হাজার ৫১২টিতে। এরমধ্যে ৯ হাজার ৫৭৬টি সম্ভাব্য ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা (মজুত) হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৮৬টি বেশি।

দেশগুলোর মধ্যে চীনের মজুত সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত ৩৫০ থেকে ৪১০টিতে উন্নীত করেছে। ভারত, পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়াও তাদের মজুদ বাড়িয়েছে। রাশিয়া তাদের মজুত ৪ হাজার ৪৭৭ থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৪৮৯টি করেছে।

রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এখনও পারমাণবিক অস্ত্রের প্রায় ৯০ শতাংশ রয়েছে। স্মিথ বলেন, সবচেয়ে বড় কাজ যেটি হয়েছে, তা হলো আমরা ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা কমাতে কাজ করেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আর তা সম্ভব হবে না।

এসআইপিআরআই এর গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং নিরস্ত্রীকরণের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কারণ সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত স্থিতিশীলতা সংলাপ স্থগিত করেছে।

চীন নিজ অর্থনীতি এবং প্রভাব বৃদ্ধির পাশাপাশি সামরিক বাহিনীতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। স্মিথ বলেন, চীন বিশ্ব শক্তি হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে, এটাই সময়ের বাস্তবতা। গত ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ২০১০ সালে করা পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাস চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল।

স্মিথ বলেন, মজুত বৃদ্ধির বিষয়টি চলমান যুদ্ধের মধ্যে ব্যাখ্যা করা কঠিন। কারণ নতুন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে আরও বেশি সময় লাগে।