মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ

আগামী ২১ থেকে ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতায় বসার পর প্রথমবারের মতো তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন। সফরে তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আয়োজিত একটি রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি যৌথ বৈঠকে ভাষণ দেবেন। গালফ নিউজ।

নরেন্দ্র মোদি

মোদি প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি মার্কিন কংগ্রেসে দুইবার ভাষণ দিতে যাচ্ছেন। এর আগে ড. মনমোহন সিংকে ২০০৯ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

মোদির এ সফর সফল করতে ভারতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। 'দ্য হিন্দু' সংবাদপত্র জানিয়েছে, সফরে মোদি কয়েকটি চুক্তি সম্পাদন করবেন। বিশেষ করে প্রযুক্তি, বাণিজ্য ও শুল্ক বিষয়ে দুদেশের মধ্যে নানা বিষয় ও চুক্তি সামনে আসতে পারে।

আগামী জুলাই মাসে ফ্রান্সেও মোদি সফর করার কথা রয়েছে। জানা যায়, ফ্রান্সে তিনি বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। মোদির এ সফরগুলো এমন একটি সময়ে হচ্ছে, যখন যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার বিষয়ে নিজ অবস্থানে অবিচল ছিল ভারত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের চ্যালেঞ্জই মূলত ভারতকে পশ্চিমামুখি হতে চালিত করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন আর গণতন্ত্র নিয়ে ভারতকে সবক দিচ্ছে না। যদিও গত মাসে নয়াদিল্লির সমালোচনা করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেখানে বিজেপি নেতাদের ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য প্রতিবেদনটিকে পক্ষপাতমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে।

এছাড়া ভারতীয় কর কর্মকর্তাদের বিবিসির অফিসে অভিযান চালানোর ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিতে কানই দেয়নি। যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একইদিন বোয়িং ও এয়ার ইন্ডিয়ার মধ্যে একটি মেগা জেট চুক্তির জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে ভারতকে কাছে টানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের বিশাল বাজারও তারা হাতছাড়া করতে চায় না।