পাল্টা আক্রমণে ৩ গ্রাম উদ্ধারের দাবি কিয়েভের

ইউক্রেন দাবি করেছে, পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে তারা দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের তিনটি গ্রাম রাশিয়ার কাছ থেকে মুক্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে নেচে গেয়ে ইউক্রেনীয় সেনাদের এ জয় উদযাপন করতে দেখা গেছে। সেখানকার বিভিন্ন বাড়িতে ইউক্রেনের পতাকা উড়তে দেখা গেছে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।

গ্রাম মুক্ত করার পর সেনারা

কিয়েভের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ইউক্রেনীয় সেনারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের মাকারিভকা, ব্লাহোদাত্নে ও নেসকুচনে গ্রাম উদ্ধার করেছে।

এর আগে গত শনিবার (১০ জুন) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ‘কাউন্টার অফেন্সিভ’ বা পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়েছে। ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রুশ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বহুল প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর এটিই কিয়েভের প্রথম কোনো জয়। তবে রাশিয়া দাবি করছে, তারা ইউক্রেনের আক্রমণ প্রতিহত করছে। তারা ইউক্রেনের কাছে কোনো এলাকা হারানোর কথা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি।

পতাকা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিধ্বস্ত ভবনে

উল্লেখ্য, উদ্ধারকৃত গ্রামগুলো মারিওপোল যাওয়ার পথে পড়ে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইউক্রেন এরপর মারিওপোল উদ্ধার করতে অভিযান চালাবে।

এদিকে ইউক্রেন অভিযোগ করছে, কাখোভকা বাঁধ ধ্বংসের পর রাশিয়া জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে আরেকটি বাঁধ উড়িয়ে দিয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ভ্যালেরি শেরশেন জানান, রুশ সেনাবাহিনী নোভোদারিভকা গ্রামের কাছে অবস্থিত ওই বাঁধটি উড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে মোকরি ইয়ালি নদীর উভয় তীরে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। দখলকৃত জায়গায় ইউক্রেনের পাল্টা হামলা ঠেকাতেই রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ওই অঞ্চলের বাঁধগুলো ধ্বংস করছে বলে দাবি করেন শেরশেন।

কিয়েভ বলছে, রুশ বাহিনী নতুন যে বাঁধটি উড়িয়ে দিয়েছে, সেটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল। রাশিয়া অবশ্য গত সপ্তাহে ধ্বংস হওয়া কাখোভকা বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাশাপাশি বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার জন্য তারা ইউক্রেনকেই দায়ী করেছে।