২০২৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের যত খেলা

গত সপ্তাহে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এরমধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ২০২১-২৩ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্র। ২০২৩-২৫ চক্র শুরু হচ্ছে আগামীকাল ‍শুক্রবার থেকে। এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাসেজ সিরিজে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড। সিরিজের পাঁচটি ম্যাচই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। নতুন চক্রে বাংলাদেশের ম্যাচ কবে, কখন অনুষ্ঠিত হবে চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন চক্র ঘোষণা করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, আইসিসি। একই সঙ্গে দলগুলোর এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম) অনুসারে আন্তর্জাতিক সূচি এবং দ্বিপাক্ষিক সূচি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। নতুন এফটিপিতে চলতি বছরের মতো ২০২৪ সালেও বাংলাদেশ দলের ব্যস্ততা থাকবে। পরের বছর কিছুটা বিরতি দিয়ে সিরিজ খেলবে টাইগাররা।

২০২৫ সাল পর্যন্ত এফটিপিতে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো সিরিজ নেই বাংলাদেশের। তবে দুই বোর্ডের সমঝোতায় দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের সুযোগ থাকছে। কিছুদিন আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, এফটিপির বাইরে তারা বাংলাদেশকে টেস্ট খেলতে স্বাগত জানাবে। এ সময়ে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একাধিক সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।

চলমান আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে বাংলাদেশ যোগ দেবে এশিয়া কাপে। এশিয়া কাপ শেষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। এরপরই নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতে। সেখানে সরাসরি অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপ শেষে আবার নিউজিল্যান্ড আসবে বাংলাদেশে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আওতায় এ সফরে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে কিউইরা। লঙ্গার ভার্সনের সিরিজটি শেষ করে ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে কিউইদের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট ও সমান ৩টি করে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এরপর এপ্রিলে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টেস্ট এবং ৫টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হবে টাইগাররা। সিরিজ শেষ করে জুনে (২০২৪ সালে) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে বাংলাদেশ।

এরপরের মাসে জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। সফরটিতে আফগানিস্তানের হোম সিরিজ হওয়ায় বাংলাদেশকে তারা কোথায় আতিথেয়তা দেবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভারতের দেরাদুনে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০২৪ সালের আগস্টে পাকিস্তান সফরে আছে কেবল দুটি টেস্ট ম্যাচ। পরের মাসে সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে দুই টেস্টের সঙ্গে আছে ৩টি ওয়ানডে ম্যাচ। একই বছরের অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।

এরপর নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর।

২০২৫ সালের মার্চে জিম্বাবুয়েকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। তাদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সমান তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে স্বাগতিকরা। এরপর মে মাসে পাকিস্তান সফরে আছে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি। পাকিস্তান সফর শেষ আবার শ্রীলঙ্কায় যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে লঙ্কানদের বিপক্ষে খেলবে দুটি টেস্ট ও সমান ৩টি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি।

আগস্টে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে ভারতের। এ সিরিজে লাল বলের কোনো ম্যাচ না থাকলেও তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। এরপর ওই বছরের সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে অংশ নেবে বাংলাদেশ। অক্টোবরে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। ২০২৫ সালের শেষ সিরিজ সিরিজটি বাংলাদেশ খেলবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ঘরের মাঠে আইরিশদের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও সমান ৩টি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।