দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের প্রথম সামরিক তৎপরতা!

ফিলিপাইনের জন্য সামরিক সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাপান। নিরাপদ সমুদ্রপথ তৈরি এবং তাইওয়ানের পশ্চিম প্রান্ত নিরাপদ করতে জাপান এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মাধ্যমে জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো সামরিক তৎপরতায় সরাসরি অংশ নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।

সমুদ্র চলাচল নিরাপদ করতে চায় জাপান

খবরে বলা হচ্ছে, কয়েক দশকের শান্তিপূর্ণ অবস্থান থেকে সরে আসার পর থেকে টোকিও প্রশান্ত মহাসাগরে জাহাজ চলাচল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। জাপানের দ্বীপপুঞ্জ থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত সমুদ্রপথে ফিলিপাইনের সামরিক উপস্থিতি খুবই দুর্বল। এতে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে জাহাজ চলাচল হুমকির মুখে থাকে সর্বদা। এজন্য জাপান ফিলিপাইনকে সামরিক সহায়তা দিতে চায়।

জাপানি সেনাবাহিনীর উদ্বেগের প্রধান কারণ হলো তাইওয়ানে চীনা হস্তক্ষেপ। জাপান মনে করে, তাইওয়ান নিয়ে চীন যেকোনো সময় সংঘাতের জন্ম দিতে পারে। এজন্য এর আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।

গত এপ্রিলে টোকিও জানায়, জাপান তার সমমনা দেশগুলোকে রাডারসহ সামরিক সহায়তা দেবে। এই সহায়তা ফিলিপাইনকে প্রতিরক্ষামূলক দুর্বলতা ঢাকতে ভূমিকা রাখবে। ফিলিপাইনকে রাডার সরবরাহ খুবই জরুরি মনে করে জাপান।

দেশটির অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল কাতসুতোশি কাওয়ানো মনে করেন, ফিলিপাইন-তাইওয়ানকে পৃথককারী জলপথটি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ চীন সাগরের মধ্যে চলাচলকারী জাহাজগুলোর মরণ পয়েন্ট। এই জলপথকে নিরাপদ রাখা টোকিওর দায়িত্ব।

জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল পরিকল্পনায় জড়িত তিন জাপানি সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ওয়াশিংটন ফিলিপাইনের ব্যাপারে জাপানকে পরামর্শ দিতে রাজি। কারণ ফিলিপাইনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক রাখে। তবে এখানে মার্কিন প্রশাসনের কোনো চাপ নেই জাপানের ওপর।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, আমরা সামুদ্রিক পর্যবেক্ষণ এবং নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এমন সরঞ্জাম ফিলিপাইনকে দেব। তবে ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে জাপান থেকে নিরাপত্তা সহায়তার ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।