আপনি পড়ছেন

রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো ইউক্রেনে যেসব অস্ত্র সরবরাহ করছে, তা ইরানসহ বিভিন্ন শত্রুরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। তারা দাবি করে, এসব অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সক্ষমতা অনেকখানি বাড়িয়ে দিতে পারে। খবর নিউজউইক।

fgm 148 javelin systems a u.s. made man portable anti tank missileইউক্রেনে পাঠানো মার্কিন অস্ত্র

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উভয় পক্ষের আধা সামরিক বাহিনীই যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত ট্যাংক বিধ্বংসী জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করছে।

তিনি বলছেন, এর অর্থ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করার মাধ্যমে রুশ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এই অস্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি তারা ঘনিষ্ঠ দেশগুলোতেও পাঠাতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে মস্কো ও তেহরানের ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্কের কারণে ইরানের এসব অস্ত্র যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে ইউক্রেনের আধা-সামরিক বাহিনী কিছু কিছু সদস্য অস্ত্র পাচার করে অর্থ উপার্জনের দিকে মন দিয়েছে। ফলে খুব সহজেই শত্রুদের কাছে এসব অস্ত্র পৌঁছে যাচ্ছে।

russian soldier holds up a us made javelin anti tank missileরুশ সেনার হাতে মার্কিন অস্ত্র

আইডিএফের শীর্ষ কর্মকর্তার এই উদ্বেগের বিষয়ে একমত হয়েছেন বিশেষজ্ঞরাও। তারা মন্তব্য করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের চালান এভাবে অন্যের হাতে চলে গেলে তা ওয়াশিংটন ও তাদের মিত্রদের জন্য ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। প্রতিদ্বন্দ্বীদের সক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় সংকট বাড়তে পারে ইসরাইলসহ অন্য দেশগুলোর জন্য।

ইসরায়েলি ওই সেনা কর্মকর্তা দাবি করেন, বিশেষ করে তেল আবিবের জন্য বিষয়টি খুবই বিপজ্জনক হয়ে দেখা দিবে। কারণ ইরান এসব অস্ত্রের গবেষণা করে এর নির্মাণ প্রক্রিয়া জেনে নিতে পারে। একই সঙ্গে এসব অস্ত্র হিজবুল্লাহ ও হামাসের হাতে চলে যেতে পারে। এতে ইসরায়েলের অস্ত্র সক্ষমতা অনেক বেশি সমস্যার মুখে পড়বে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন অংশে লড়াইয়ে যুক্ত থাকার কারণে এসব অস্ত্র ব্যাপকাকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কী পরিমাণ অস্ত্র শত্রুপক্ষের হাতে গেছে তা নির্দিষ্টভাবে নিরূপন করা কঠিন। তবে শত্রুদের হাতে যে অস্ত্র চলে গেছে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।

আরেকটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত বছরের আগস্টে তেহরানে রাশিয়ার একটি অবতরণ করে। সেটি থেকে বিশাল এক কার্গো নামানো হয়। ধারণা করা হয়, ওই কার্গোতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি জ্যাভেলিন ও যুক্তরাজ্যের তৈরি অত্যাধুনিক লাইট অ্যান্টি-আর্মার উইপন্সসহ নানা ধরনের পশ্চিমা অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্রের মূল্য কমপক্ষে ১০ কোটি ডলার বলে মনে করা হয়।

এদিকে বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলে দাবি করলেও মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, বাস্তবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারণ ওয়াশিংটন ও কিয়েভ অস্ত্রের বে-আইনি প্রবাহ বন্ধ রাখতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলো বেশ কাজে এসেছে। ফলে শত্রুপক্ষের কাছে অস্ত্র পৌঁছার কোনো কারণ নেই।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ড্রোন অক্ষত অবস্থায় আটক করে। পরে সেগুলো নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালায়। এর পরপরই ইরান ড্রোন নির্মাণে মনোযোগ দেয়। বর্তমানে ইউক্রেনে হামলা চালানোর কাজে ব্যবহৃত রুশ ড্রোনের অধিকাংশই ইরানের নির্মিত বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। চলমান যুদ্ধে ব্যবহৃত মার্কিন অস্ত্রও এভাবে ইরানের হাতে চলে গেলে তাতে ইরান অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠবে বলে আশঙ্কা করছে পশ্চিম বিশ্ব।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.