ইরান সফর করলেন হামাস ও ইসলামিক জিহাদের নেতারা

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে ফিলিস্তিনি আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দল ইরানের রাজধানী তেহরান পৌঁছেছেন। সেখানে তারা প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই ইরান সফরে গেলেন এই হামাস নেতা।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসি

হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০ জুন, মঙ্গলবার হানিয়া ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি ফিলিস্তিন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, রাইসি হামাস নেতাকে বলেছেন, ‘যারা একসময় ইহুদিবাদী শাসক ও তার সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিল, তারাও এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ইসরায়েলিদের সঙ্গে কথা বলা অনর্থক। একমাত্র প্রতিরোধের মাধ্যমেই এই শাসনের মোকাবেলা করতে হবে।' 

ইসমাইল হানিয়া ফিলিস্তিনের প্রতি ইরানের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেছেন, 'ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ ফ্রন্ট আজ কেবল গাজা উপত্যকায় নয়, অধিকৃত পশ্চিম তীরে এবং ১৯৪৮ সাল থেকে দখলকৃত ভূমিতেও তার শক্তি প্রসারিত করছে।' 

এদিকে প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সেক্রেটারি জেনারেল জিয়াদ আল নাখালাও পৃথকভাবে ইরান সফরে যান। তিনি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। 

গত সোমবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে পিআইজের একজন সদস্যসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ধরনের উত্তেজনাকর মুহুর্তে ইরান সফর করেন হামাস এবং পিআইজের নেতারা। 

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে আহত ১৫ বছর বয়সী একটি কিশোরী ২১ জুন, বুধবার মারা গেছে। মেয়েটি সোমবারের অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল।

ইসরায়েলি বাহিনী বুধবার ফিলিস্তিনি গ্রামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে একটি বসতির কাছে চার ইহুদিকে হত্যার জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সূত্র: দ্য ন্যাশনাল