আফগান শাসকগোষ্ঠীর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় চীন

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। চীন আফগান শাসকগোষ্ঠীর ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। টোলো নিউজ।

জাতিসংঘের নিরাপত্তার পরিষদের বৈঠক

জাতিসংঘে দেশটির বিশেষ দূত রোজা ওতুনবায়েভা বলেছেন, জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা আফগান নারীদের বিরুদ্ধে কাবুল সরকারের বিধিনিষেধ সারা বিশ্বের মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে। এই নিষেধাজ্ঞার জন্য কাবুল সরকার এখনও কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। 

তবে জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ঝাং জুন আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সংলাপে বসার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের উচিত কাবুল সরকারের প্রতিনিধিদের ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া।

বৈঠকে ওতুনবায়েভা বলেন, জাতিসংঘ নারী কর্মীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না এবং তাই নারী-পুরুষ সবাইকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। আফগানিস্তানে আফিমের চাষ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একসময় আফিমের অর্থনীতি আফগানিস্তানের গ্রামীণ অর্থনীতি টিকিয়ে রাখত। পপি চাষ বন্ধ হওয়ায় এখন কৃষকদের কষ্ট হচ্ছে। এজন্য তিনি বিকল্প জীবিকার জন্য আফগানিস্তানে অর্থ বরাদ্দ করার কথা বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানান।

একই বৈঠকে ভাষণ দেন জাতিসংঘে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থায়ী প্রতিনিধি লানা নুসিবেহ। তিনি বলেন, আফগান সমাজে আফগান নারী ও মেয়েদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জোর দিতে হবে। নারীদের শিক্ষা প্রদান এজন্য খুবই দরকার। দেশটিতে প্রত্যাশিত মানের শিক্ষার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

নুসিবেহ আফগানিস্তানের শিক্ষাখাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কাবুল সরকার কথা না শুনলে পরবর্তী দাতাদের তহবিল প্রত্যাহার হবে। এতে দেশটির নারী-শিশু সবার জন্য একটা ট্রাজেডি চেপে বসবে। আফগানিস্তানে অবশ্যই নারী ও মেয়েদের ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার সুরক্ষিত করতে হবে। কারণ একমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই তারা কথা বলতে পারবে স্বাধীনভাবে।

মার্কিন ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সতর্কতার সঙ্গে কাবুল সরকারের প্রতিশ্রুতিগুলোর ওপর নজর রাখছে। প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক অগ্রাধিকার সত্ত্বেও আমরা আফগান জনগণের ক্রমবর্ধমান মানবিক চাহিদায় মুখ ফিরিয়ে নিতে পারি না। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের জনগণকে সমর্থন দান অব্যাহত রাখবে।