অস্ট্রেলিয়ার নাটুকে জয়, সিরিজ হারের মুখে ইংল্যান্ড

লর্ডসে চতুর্থ দিন শেষেই জয় দেখছিল সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ৩৭১ রানের বিরাট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। জয়টা তখন দূরের বাতিঘর। তবে দলটা যখন ইংল্যান্ড তখন ভিন্ন কিছুর আশা করতেই পারেন সমর্থকেরা। সেটাই হয়েছে। পঞ্চম দিনে এসে অবিশ্বাস্যভাবে লড়াই করেছে ইংল্যান্ড। উত্তেজনা আর রোমাঞ্চেভরা দিনে শেষ হাসি হেসেছে অস্ট্রেলিয়াই।

 অস্ট্রেলিয়ার নাটুকে জয়, সিরিজ হারের মুখে ইংল্যান্ড

উত্তেজনার বেশিরভাগ অবদানই অধিনায়ক বেন স্টোকসের। বেন ডাকেটের পর তার একার বীরত্বে একটা সময় জয়ের স্বপ্নই দেখছিল ইংল্যান্ড। স্বপ্নকে বাস্তবে ধরা দিতে না দিতেই স্টোকসের বিদায়! জস হ্যাজলউডের দারুণ এক স্পেলে সব স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় স্বাগতিকদের। এজবাস্টনের পর লর্ডস টেস্ট জিতে অ্যাশেজ সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেল সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।

পঞ্চম উইকেটে ১৫৭ বলে ১০০ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে জয়ের পথে ফিরিয়ে আনেন ডাকেট ও স্টোকস। শেষপর্যন্ত ১৩২ রান করে থামে দুই ‘বেনের’ জুটি। ১১২ বলে ৮৩ রান করে ফিরে যান ডাকেট। ১৭৭ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জনি বেয়ারস্টো। দলকে ১৯৩ রানে রেখে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।

বেয়ারস্টোর ফেরার পর তখনও জয় থেকে ১৭৮ রান দূরে ইংল্যান্ড। চার উইকেট হাতে নিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকেরা। সেখান থেকে আবারও দলকে টেনে তুলেন স্টোকস। স্টুয়ার্ট ব্রডকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১০৮ রানের জুটি। যে জুটিতে ব্রডের অবদান মোটে ১১ রান। ইংল্যান্ডের জয়ের সমীকরণ ৭০ রানে নামিয়ে আনেন ইংলিশ অধিনায়ক। ক্রিজে ১৫৫ করে অপরাজিত তখন তিনি। জয়ের পাল্লা তখন ইংল্যান্ডের পক্ষেই ভারী। এরপরই অজি পেসার হ্যাজলউডের ‍দুর্দান্ত এক স্পেলে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। ২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে সব উত্তেজনা আর রোমাঞ্চের অবসান ঘটায় স্টোকসের দল। ৪৩ রানের পরাজয় মেনে মাঠ ছাড়ে ইংলিশরা।

২১৪ বল মোকাবেলা করে ১৫৫ রান করেন স্টোকস। অসাধারণ এই ইনিংসে ৯টি করে ছক্কা আর চার মারেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ও হ্যাজলউড। একটি উইকেট শিকার করেছেন কামেরুন গ্রিন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ৪১৬/১০ এবং ২৭৯/১০ রান।
ইংল্যান্ড: ৩২৫/১০ এবং ৩২৭/১০ রান।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৩ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: স্টিভেন স্মিথ (১০৪ ও ৩৪ রান)।
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ অ্যাশেজ সিরিজে ২-০-তে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।