কোরআন অবমাননা: ইরাকি ফুটবলারদের অন্যরকম প্রতিবাদ

সুইডেনে ঈদের দিন মসজিদের সামনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় অন্যরকম প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরাকি ফুটবলার, কর্মকর্তা ও সমর্থকরা। ফুটবল মাঠে পবিত্র কোরআনের কপি তুলে ধরে ইসলামের শাশ্বত বাণীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে তারা। খবর মিডলইস্টমনিটর।

ম্যাচের আগে কোরআন উঁচু করে তুলে ধরছেন ফুটবলার ও কর্মকর্তারা

খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার আল-শোর্তা ও আল-কাসিমের মধ্যকার ম্যাচের আগে খেলোয়াড় এবং ক্লাব ও ম্যাচ পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা পবিত্র কোরআনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা দেখাতে সেটিকে চুম্বন করে মাথার উপরে ধরে রেখেছিলেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বহু দর্শকও। গ্যালারিতে দর্শকদের একটি দল কোরআনের সমর্থনে লেখা একটি ব্যানার ধরে রেখেছিল। তাতে লেখা ছিল, কোরআন আমাদের চিরন্তন আইন। এটি রক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক।

ঈদের দিন (২৮ জুন) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ইরাকি নাগরিক সালওয়ান মোমিকা কর্তৃক কোরআনের একটি কপি পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। সেখানকার আদালতের অনুমোদনক্রমেই ওই ব্যক্তি ঘৃণিত এ কর্মকাণ্ডের আঞ্জাম দেয়। এ ঘটনার আগে-পরে বিশ্বের অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এ কাজের প্রতিবাদ জানায়। অনেক দেশ তাদের দেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে চায়।

পবিত্র কোরআন

ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) কোরআন পোড়ানোকে একটি আপত্তিকর, অসম্মানজনক ও স্পষ্ট উস্কানিমূলক কাজ বলে নিন্দা করেছে। ইইউর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক মুখপাত্র নাবিলা মাসরালি এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, এমন ঘৃণিত কাজ কোনোভাবেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদর্শ ও কর্মকাণ্ডকে প্রতিফলিত করে না। ইউরোপে বর্ণবাদ, জেনোফোবিয়া ও অসহিষ্ণুতা প্রকাশের কোনো স্থান নেই।