অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাককালামের হুমকি

ব্রেন্ডন ম্যাককালাম প্রধান কোচ হয়ে আসার পর থেকেই পাল্টে যায় ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট খেলার ধরন। ইংলিশদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেটীয় এই কৌশলের কেতাবি নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাজবল’। বেশ কয়েকটি ম্যাচে এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেলেও অ্যাশেজ সিরিজের শুরুতে তা কিছুটা হলেও মুখ থুবড়ে পড়েছে।

ব্রেন্ডন ম্যাককালাম

প্রথম দুই টেস্ট হেরে সিরিজ আপাতত খোয়ানোর আশঙ্কায় পড়েছে ইংলিশরা। এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে দুই উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর দুদিন আগে লর্ডস টেস্টে ৪৩ রানে হেরেছে ইংলিশরা। এমন ব্যাকফুটে চলে গেলেও সিরিজ জয়ের আশা ছাড়ছেন না ম্যাককালাম; ফিরতে চান বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া হেডিংলি টেস্ট থেকে। একই সঙ্গে অজিদের হুমকি দিয়ে বসলেন কিউই কোচ।

সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে বিয়ার পান করব এই মুহূর্তে এমন কিছু আমি কল্পনাও করতে পারছি না। আমাদের সামনে এখনও তিনটি টেস্ট আছে। যেখানে আমাদের এখন প্রতিপক্ষকে কিছুটা ধাক্কা দিতে হবে এবং অ্যাশেজ জয়ের চেষ্টা করতে হবে। আমাদের মনোযোগ এখন সেদিকেই।’

ইংল্যান্ড কোচের মনোযোগ হয়তো সামনে। কিন্তু স্পট লাইট আছে লর্ডস টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে জনি বেয়ারস্টোর বিতর্কিত আউটের দিকে। ক্রিকেটীয় আইনে সেটি আউট হলেও বিতর্কের ঝড় উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার গেম স্পিরিট নিয়ে। ম্যাককালাম নিজেও মানছেন বেয়ারস্টোর আউটটা নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু অধিনায়ক বেন স্টোকসের মতো তিনিও প্রশ্ন তুলেছেন অজিদের চেতনা নিয়ে।

ম্যাককালাম বলেছেন, ‘আপনি যখন আরও অভিজ্ঞ হবেন, আরও পরিণত হবেন তখন আপনি বুঝতে পারছেন যে খেলা এবং আর ভাবনাকে রক্ষা করা উচিত। আপনাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটি খেলা এবং খেলোয়াড়দের ওপর প্রভাব ফেলে। নিয়ম অনুসারে জনি আউট হয়েছে। কিন্তু ও রান নেওয়ার চেষ্টা করেনি।’

অনেকের মতে ম্যাচের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বেয়ারস্টোর উইকেটটা ইংল্যান্ডের জন্য ছিল মহামূল্যবান। কারণ, স্টোকস যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন তখন অস্ট্রেলিয়া প্রায় লড়াই থেকেই ছিটকে যাচ্ছিল। অমন সময় বেয়ারস্টো স্টাম্পিং না হলে ম্যাচের ফলটা অন্যরকম হতে পারতো। ম্যাককালাম হতাশ এটা ভেবে যে, ম্যাচের ফল নয় এই টেস্টের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হয়ে থাকল বেয়ারস্টোর আউটটাই।