শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের পুঁজি ২৩৬ রান

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের পুঁজি মাত্র ২৩৬ রান। এই রানটাও হতো না, যদি শেষ দিকে নুরুল হাসান ৩৯ বলে ৪৪ রানের দারুণ ইনিংসটা না খেলতেন। সোহানের কিপিংয়ের ভক্তরা এবার নিশ্চয় তার ব্যাটিংয়েও ভরসা করার সাহস পাবেন। তিন চার ও এক ছয়ে এ রান করেন সোহান। 

এই ম্যাচে টানা তৃতীয়বার ব্যর্থ হয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। করেছেন মাত্র এক রান। সুবিধা করতে পারেননি সাকিব, মোসাদ্দেকও। ১৪ বলে ১৯ রান করে ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়েও তা করতে পারেননি সাব্বির। এই ম্যাচেও সব মিলিয়ে ব্যর্থই হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা।

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য দারুণ ছিলো। তামিম ও ইমরুল ওপেনিং জুটিতে সেঞ্চুরি করেন। যা কিউইদের বিপক্ষে প্রথম জুটিতে বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তামিম ও ইমরুলের জুটিতে ভর স্কোরের স্বপ্নই দেখছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু ৪০ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে আপাতত ধুকছেন মাশরাফিরা।

দলীয় ১৪১ এবং ব্যক্তিগত ৫৯ রানে জেমি নিশামে বলে বাজে এক শট খেলে আউট হন তামিম। তার ক্যাচ নেন নিল ব্রুম। অথচ তামিমের কাঁধেই ছিলো বড় স্কোর গড়ার মূল দায়িত্ব। কিন্তু হঠাৎ করেই মেজাজ হারিয়ে দলকে বিপদে ফেলেন তিনি।

তামিমের আগে টানা তৃতীয় ম্যাচে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে ব্যর্থ হন রিয়াদ। মাত্র তিন রান করে টিম সাউদির শর্ট বলে মিড উইকেটে জেমি নিশামের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আগের ম্যাচে কোনো রানই পাননি রিয়াদ। তার আগের ম্যাচে ফিরেছিলেন মাত্র এক রান করে। অর্থাৎ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মাত্র চার রান এলো রিয়াদের ব্যাট থেকে। যা অবশ্যই চরম হতাশার ব্যাপার।

রিয়াদের আগে দারুণ খেলতে থাকা সাব্বিরও পড়েন শর্ট বলের ফাঁদে। ম্যাট হেনরির লাফিয়ে উঠা বলটি ফ্লিক করতে গিয়ে টাইমিংয়ের গড়বড়ে পাঠিয়ে দেন উইকেটকিপারের কাছে। লুক রঙ্কি সেই ক্যাচ নিতে মোটেও ভুল করেননি। তার আগে নিল ব্রুমের অসাধারণ এক ক্যাচে ফেরেন ইমরুল কায়েস।

১৭৯ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১১ রান করেন মোসাদ্দেক। তার আগে ৩৫ বলে মাত্র ১৮ রান করে ফিরেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে তার সময় ভালো যাচ্ছে না একদমই।

হোয়াইটওয়াশ ঠেকাতে ২৩৭ রানের নিচে কিউইদের থামাতে হবে বাংলাদেশকে। এই ম্যাচে দলে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার ফেরার দিনে বাংলাদেশ কি পারবে সম্মান বাঁচাতে?