জামাল ভূঁইয়াদের দেড় লাখ টাকা করে দিলো বাফুফে

সবশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। সেমিতেও কুয়েতের বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে হাভিয়ের কাবরেরার দল। নির্ধারিত সময়ের পর ১০৫ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে ফাইনালের স্বপ্নভঙ হয় বাংলাদেশের। তবে ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনাল খেলার জন্য ফুটবলারদের আজ পুরস্কৃত করা হয়েছে।

গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন কাজী সালাউদ্দিন

রোববার ফুটবলারদের আগমনে সরগরম হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবন। সদ্য শেষ হওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে আসা সব ফুটবলারই এসেছিলেন বাফুফে ভবনে। তাদের সৌজন্য সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সৌজন্য সাক্ষাতে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে ফুটবলারদের পুরস্কৃত করাই ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য।

সাফের সেমিফাইনালে খেলার পুরস্কার হিসেবে দলের সবাইকে দেড় লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সেমিফাইনালে উঠতে পারলে দলকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আগেই দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সেই পুরস্কারের অর্থই রোববার ফুটবলাদের দেওয়া হয়েছে। বাফুফের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে খামে করে টাকা দেওয়া হয় ফুটবলারদের।

জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা পুরস্কারের বাইরে আলাদা তিনজন ফুটবলারকে ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কৃত করেন সালাউদ্দিন। সাফের সেরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো ও শেখ মোরছালিনকে এক লাখ টাকা করে দিয়েছেন সালাহউদ্দিন। এছাড়া রাইটব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষকে দিয়েছেন ৫ লাখ টাকা। সাফের ফাইনালে উঠতে পারলে বিশ্বনাথ নিজে পুরো দলকে ৫ লাখ টাকা উপহার দেবেন বলেছিলেন। সেটা জানতে পেরে বিশ্বনাথের উদার মনের জন্য তাকে ৫ লাখ টাকা দেন সালাউদ্দিন। এই টুর্নামেন্টে দারুণ খেলেছেন বিশ্বনাথ।

ফুটবলারদের উদ্দেশ্যে সালাউদ্দিন বলেন, ‘টুর্নামেন্টে তোমরা দারুণ খেলেছ। আমি খুশি তোমাদের ওপর। আমরা মানসম্পন্ন ফুটবল খেলতে পারি, সেটা দেখাতে পেরেছি। দুটি ম্যাচ আমরা হেরেছি। তবে ভালো খেলেছি। দেশ ছাড়ার আগে অনেকে অনেক কথা বলেছিল। তবে আমার বিশ্বাস ছিল তোমাদের ওপর।’