৪৩টি ডট বল দিয়েও যেখানে ব্যর্থ শরিফুল ইসলাম

৯-১-২১-৪ – তবুও কেন ব্যর্থ শরিফুল ইসলাম? আরও খোলাসা করে বলতে গেলে ৫৪ বলের মধ্যে ৪৩টি ডট দেওয়ার পরেও কোন জায়গায় ব্যর্থ? পাঁচ উইকেট নিতে না পারায়? না। শরিফুল ব্যর্থ রিলাক্স থাকতে না পারায়।

শরিফুল ইসলাম

আগ্রাসনের জন্য আলাদা একটা পরিচিতি রয়েছে তরুণ পেসার শরিফুল ইসলামের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে সুযোগ না পেলেও তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পেয়ে করেছেন বাজিমাত। গড়েছেন ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। দুর্দান্ত লাইন-লেন্থের সঙ্গে চিরচেনা আগ্রাসনে শরিফুল মুগ্ধ করেছেন সবাইকে।

পেসারদের আগ্রাসন না থাকলে কি হয়? পেসারদের আগ্রাসন হতে হবে বাঘের মতো, তাদের চেহারায় থাকবে ভয়ংকর একটা রূপ। শরিফুলের মাঝেও রয়েছে এমন কিছুই। কিন্তু তার আগ্রাসন যেন অন্যদের চেয়ে একটু বেশিই। জাতীয় দলে তারই সতীর্থ হাসান মাহমুদ উইকেট শিকারের পর চুপচাপ থাকেন ব্যাটারদের কষ্ট না দিতে। কিন্তু শরিফুল উইকেট না পেলেও ব্যাটারদের আগ্রাসন দেখিয়ে ভয় পাইয়ে দেন প্রতিনিয়ত।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার পর সংবাদ সম্মেলনেও আসেন শরিফুল। শুরুতেই তার সফলতা ও উল্লাস (আগ্রাসন) সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে শরিফুল বলেন, ‘জেদ ছিল না, অনুশীলনে যেমন চেষ্টা করেছিলাম ম্যাচে সেটি করতে পেরেছি। শরীরী ভাষাটা অটোমেটিক চলে আসে। ড্রেসিংরুমে ভাবি এমন করা যাবে না কিন্তু মাঠে অটোমেটিক চলে আসে (আগ্রাসন)।’

৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪ উইকেট শিকার করা শরিফুলের সামনে সুযোগ ছিল পাঁচ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করার। কিন্তু শেষ একটি ওভার কেন করেননি সেটি জানতে চাওয়া হলে শরিফুল জানান পেশিতে টান লাগায় সেটি সম্ভব হয়নি, ‘চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পেশিতে ক্র্যাম্প করছিল। আমি যদি তখন জোর করে বোলিং করতাম তাহলে ইনজুরিতে পড়তে পারতাম। আবার যদি লুজ বল করতাম তাহলে বাউন্ডারি আসতে পারত। এজন্য আমি বোলিং না করে দলের সেরা বোলারদের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

২১ রানে ৪ উইকেট শিকার করা শরিফুল প্রথম স্পেলে শিকার করেন ৩ উইকেট। একের পর এক বাউন্সার দিতে দেখা গিয়েছিল শরিফুলকে। প্রথম স্পেলে ২৮টি ডট বল দেওয়া শরিফুলের কাছ থেকে পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘শুরুতে ২-৩ বল সামনে করেছিলাম, যখন দেখলাম কিছু হচ্ছে না তখন লেন্থ বদল করলাম। তাসকিন ভাই বলেছিল, ব্যাক অব লেংথে করলে ভালো হবে। এতে আপ অ্যান্ড ডাউন হবার চান্স থাকবে। এভাবেই পরিকল্পনা বদল করছিলাম দুইজন।’