এই বয়সে এসেও রোনালদো যা প্রমাণ করতে চান

সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারদের একজন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ২০০৩ সালে পর্তুগালের হয়ে অভিষেকের পর এখন থেকে দলটির সেরা স্ট্রাইকার আল নাসেরের এই তারকা। বয়সটা ৩৮ বছর পেরিয়ে গেছে আরও আগে। এই বয়সেও অদম্য পর্তুগিজ যুবরাজ। ইতোমধ্যে পর্তুগালের হয়ে ২০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন পাচঁবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী। বয়সটা সাড়ে ৩৮ হলেও খেলে যেতে চান আরও কিছু দিন।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো

পর্তুগালের হয়ে ১২৩টি রেকর্ড ব্রেকিং গোল করেছেন রোনালদো। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপের বেশিরভাগ সময়েই বসে ছিলেন বেঞ্চে। এরপর অনেকেই রোনালদোর ক্যারিয়ারের শেষ দেখছিলেন। কিন্তু তিনি আবার ফিরে এসেছেন। দারুণভাবেই ফিরে এসেছেন। পর্তুগালের প্রধান কোচ হয়ে রবার্তো মার্টিনেজের পর্তুগাল অধ্যায়ের শুরুতে রোনালদোকে তিনি রেখেছেন শুরুর একাদশে। বিশ্বকাপে পর্তুগালের হয়ে কয়েকটি গোলও করেছেন সি আর সেভেন। এ কারণেই হয়ত ২০২৪ সালের ইউরো পর্যন্ত খেলে যেতে চান সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি।

২০১৬ সালে পর্তুগালকে মহাদেশীয় গৌরব অর্জনে সহায়তা করেছিলেন রোনালদো। ওই বছর তার নেতৃত্বে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পর্তুগাল। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে রোনালদোকে নিজের আন্তর্জাতিক ভবিষ্যত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমার সামনে সবসময় প্রমাণ করার কিছু থাকে। জীবনে যখন কিছু প্রমাণ করার মতো থাকে না, তখন এটিকে মৃত্যুর লক্ষণ বলে মনে হয়। প্রতি বছর আমাকে কিছু না কিছু প্রমাণ করতে হয়েছে। আমি প্রমাণ করতে চাই- আমি যেন সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হিসেবে খেলে উদাহরণ রাখতে পারি।’

রোনালদো আরও বলেন, ‘এই সাড়ে ৩৮ বছর বয়সে এসেও এটি খুবই আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে- গোল করা, গোলে সহায়তা করা, ভালো কিছুর প্রাপ্তির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, যোগ্যতা অর্জন করা, একটি ভালো ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা এবং আমি আমার ২১ বছরের ক্যারিয়ারে যা করেছি সেটা এখনও চালিয়ে নেওয়া। আমি এখনও একইভাবে এটি উপভোগ করি। আমি সবসময় দলের জন্য নিজেকে দরকারী মনে করি। ফুটবলটা এখনও উপভোগ করছি। আর এটা অব্যাহত রাখতে চাই।’

২০০৩ সালে অভিষেক হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ২০০ ম্যাচ খেলা একমাত্র ফুটবলার রোনালদো। ২০২৪ ইউরো বাছাইপর্বের চারটি ম্যাচের চারটিতেই জয় তুলে নিয়েছে পর্তুগাল। ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ জে থেকে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে পর্তুগাল।