সৌদির সহযোগিতায় শ্রীলঙ্কায় কোরআন হেফজ প্রতিযোগিতা

১০ শতাংশ মুসলিমের দেশ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়েছে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা। শ্রীলঙ্কায় সৌদি দূতাবাস এবং দেশটির বৌদ্ধধর্ম, ধর্ম ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত সোমবার এ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। খবর আরব নিউজ।

সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ

শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধধর্ম, ধর্ম ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী বিদুর বিক্রমনায়েক বলেন, কোরআন প্রতিযোগিতার এই অনুষ্ঠানটি সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় চিহ্নিত করেছে। আগে থেকেই সৌদির সঙ্গে আমাদের শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক লালন করি। এখন আমরা সাংস্কৃতিক কূটনীতির পথেও অগ্রসর হচ্ছি। প্রতিযোগিতাটি শিক্ষা, বাণিজ্য ও পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতার জন্য একটি অনুঘটক হিসাবে কাজ করবে, জনগণের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া করার সুযোগ তৈরি করবে এবং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধনকে লালন করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা বলেছেন, এই ধরনের প্রতিযোগিতা শ্রীলঙ্কার মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআনের শিক্ষার উপলব্ধি তাদের মধ্যে সৎ নৈতিকতা এবং ভদ্র আচার-ব্যবহার আনতে সাহায্য করবে। তাদের ধর্মীয় অনুশীলন আমাদের বহু-জাতিগত শ্রীলঙ্কায় একটি উন্নত সামাজিক জীবনব্যবস্থা তৈরিতে সাহায্য করবে।

হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রীলঙ্কায়

সৌদি আরবের ইসলাম, দাওয়াহ ও নির্দেশনা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি বদর আল-আনাজি, শ্রীলঙ্কায় সৌদি রাষ্ট্রদূত খালিদ বিন হামুদ আল-কাহতানি শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সৌদি দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সৌদি আরব কোরআন প্রতিযোগিতার সমর্থন দেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার ও গভীর করতে আগ্রহী। মুসলিম ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক বিভাগের পরিচালক ফয়জল আবদিন বলেন, কোরআন হেফজ প্রতিযোগিতার মতো আয়োজনগুলো শ্রীলঙ্কা ও সৌদি আরবের মধ্যে ধর্মীয় বিষয়ে ভবিষ্যতে সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করতে পারে। আমি মনে করি এটা কেবল শুরু। আমরা ধর্মীয় সহযোগিতায় নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে পারি।

কলম্বোতে আয়োজিত ওই কোরআন হিফজ প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন শহর ও প্রদেশ থেকে আসা শত শত প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিল। সোমবার সমাপনী দিনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং তাদের পুরস্কৃত করা হয়।