মেসির গোলে বাকরুদ্ধ বেকহাম

বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ২০০১ সালে গ্রিসের মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে নির্ধারিত সময় শেষে ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল ইংলিশরা। অতিরিক্ত সময়ে (৯৩ মিনিট) গ্রিসের ফাউল থেকে বক্সের সামনে ফ্রি কিক পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্ত, ফ্রি কিক নিতে আসেন ডেভিড বেকহাম। অবিশ্বাস্যভাবে সেদিন ফ্রি কিক থেকে গোল করে ইংল্যান্ডের নিশ্চিত পরাজয় ঠেকিয়ে দেন বেকহাম।

ডেভিড বেকহাম ও লিওনেল মেসি

ইংলিশ ফরওয়ার্ডের সেই ঘটনার পর কেটে গেছে অনেক বছর। ধুলোয় জমেছে সেই স্মৃতিতে। ২২ বছর পর সেই ম্যাচের গল্প বলার কারণটা পাঠক নিশ্চয় এতক্ষণে বুঝে গেছেন। দীর্ঘ দিন পর বেকহামকে সেই স্মৃতি যেন আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন লিওনেল মেসি। গতরাতে ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে সেই একইভাবে ম্যাচের শেষ সেকেন্ডে গোল করে দলকে জিতিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্র মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা মেসি।

ইন্টার মিয়ামির সহ-মালিক বেকহাম স্বাভাবিকভাবে গতরাতে উপস্থিত ছিলেন স্টেডিয়ামে। চোখের সামনে দেখেছেন মেসির জাদু। যে জাদুতে ইংলিশ কিংবদন্তিও বিস্মিত ও অভিভূত। বেকহাম স্বীকার করেছেন যে মেসি ৯৪ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে গোল পাওয়ায় তিনি প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন।

ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে বেকহাম বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, আমি যখন দেখলাম ইন্টার মিয়ামিকে ফ্রি কিক দেওয়া হয়েছে, তখন ভাবছিলাম যে এটা এভাবে শেষ হতে পারে; বাস্তাবিক যেভাবে মেসি শেষ করেছে। বিশেষ করে মাঠে যখন লিও এবং সার্জিওর (বুসকেটস) মতো খেলোয়াড় থাকে তখন এসব মুহূর্তে এটাই হয়ে থাকে।’

বেকহাম আরও বলেন, ‘আজ রাতটা (গতরাত) আমাদের ভক্তদের জন্য খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। সমর্থকেরা শুধু লিওকে মাঠে দেখার আশায় এসেছে। আর সে (মেসি) যা করেছে সেটি অসাধারণ কিছু পাওয়া হতে পারে ভক্ত-সমর্থকদের জন্য। সার্জিওর পারফরম্যান্সও ছিল দুর্দান্ত। আপনি জানেন যে এই স্টেডিয়ামের প্রত্যেকের জন্য এবং এই দেশের প্রত্যেকের জন্য লিওকে এমএলএস-এ খেলতে দেখা এবং পারফর্ম করতে দেখাটা যেন স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। এটা ব্যাখ্যা করার জন্য আমার কাছে অন্য কোনো শব্দ নেই।’