বেয়ারস্টোকে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারে অস্ট্রেলিয়া

সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের বাজবল নীতি বাস্তবায়নের অন্যতম সৈনিক জনি বেয়ারস্টো। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকসের দেওয়া পরিকল্পনা মেনে প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হন এই তারকা ক্রিকেটার। তাতে বেশ সফল তিনি। অবশ্য গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে সময়টা ভালো যাচ্ছে না তার।

স্মিথকে নতুন জীবন দেন ইংলিশ উইকেটকিপার

উইকেটকিপিংয়ে চলমান অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বেশকিছু দৃষ্টিকটু ভুল করতে দেখা গেছে বেয়ারস্টোকে। ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেছেন ৩৩ বছর বয়সী অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তাতেই দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পেরেছে সফরকারী দল।

টস হারা ইংল্যান্ড আগে ব্যাট করতে নেমে ২৮৩ রানে অলআউট হয়। এই পুঁজি নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে পারত স্বাগতিকরা। কিন্তু বেয়ারস্টোর ভুলকে কাজে লাগিয়ে ১২ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করেছেন প্যাট কামিন্স অ্যান্ড কোং।

প্রথম ইনিংসে ২৯৫ রানে থেমেছে অস্ট্রেলিয়া। অথচ ১৮৫ রানেই ৭ উইকেট হারিয়েছিল তাসমান পড়ের দলটি। এরপরও স্টিভ স্মিথ, কামিন্স, টড মারফিদের দৃঢ়তায় তিনশ’র কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে অজিরা। সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলেন স্মিথ। যদিও ব্যক্তিগত ৪৩ রানেই প্যাভিলিয়নে হাঁটার কথা ছিল সাবেক অধিনায়কের। বেয়ারস্টো রান আউট মিস করায় নতুন জীবন পান স্মিথ।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার লিড নেওয়ার মূল কারণ এটাই। নতুন জীবন পেয়ে নিজের নামের পাশে আরও ২৮ রান যোগ করেন স্মিথ। এছাড়া অধিনায়ক কামিন্সকে নিয়ে তুলেন আরও ৪৫ রান। স্মিথ ফিরে যাওয়ার পর মারফিকে নিয়ে ৪৯ রানের আরও একটি জুটি গড়েন কামিন্স। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে ক্রিস ওকসের শিকার হন মারফি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৩৬ রান করেন কামিন্স।