সাত ছক্কায় এক ওভারে খরচ ৪৮ রান!

এক ওভারে ছয়টা লিগ্যাল ডেলিভারি। তাতে সর্বোচ্চ তোলা যায় ৩৬ রান। কিন্তু টি-টোয়েন্টির একটি ওভার থেকে এসেছে ৪৮ রান। কাবুল প্রিমিয়ার লিগে ঘটেছে এ ঘটনা। হতভাগা বোলারের নাম আমির জাজাই। খবর হিন্দুস্তানটাইমস।

ছক্কা হাঁকাচ্ছেন সিদ্দিকুল্লাহ

কাবুল প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নেমেছিল শাহিন হান্টার্স ও আবাসিন ডিফেন্ডার। ১৯ ওভার শেষে শাহীন হান্টারের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৫৮ রান। অধিনায়ক সিদ্দিকুল্লাহ অটলের সংগ্রহ তখন ৪৩ বলে ৭১ রান। আর ২০তম ওভারে বল করতে আসা আমির জাজাইয়ের বোলিং ফিগার ছিল তিন ওভারে এক উইকেটে ৩১ রান।

ইনিংসের শেষ ওভারটি করতে এসে প্রথম বলটি নো করে বসেন আমির। সেই নো বলে ছক্কা হাঁকান ২১ বছর বয়সী সিদ্দিকুল্লাহ অটল। এরপরের ফ্রি হিটে বড় ওয়াইড করে বসেন আমির, সেটা বাউন্ডারি পেরিয়ে গেলে ওই বল থেকেও পাঁচটি রান পেয়ে যায় শাহিন হান্টার। অর্থাৎ কোনো বল হওয়ার আগেই সংগ্রহ হয় ১২ রান।

হতাশ আমির জাজাই বসে পড়েছেন

এরপর আর কোনো ওয়াইড কিংবা নো বল করেননি আবাসিন ডিফেন্ডারের বোলার আমির। তবে পরের সবগুলো বলে ছক্কা হাঁকান সিদ্দিকুল্লাহ। সবমিলিয়ে সেই ওভারে শাহীন হান্টারের ঝুলিতে জমা পড়ে ৪৮ রান। অপরাজিত ১১৮ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন সিদ্দিকুল্লাহ, খেলেছেন মাত্র ৫৬ বল। সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন ৪৮তম বলে। অন্যদিকে নির্ধারিত ৪ ওভারে আমির জাজাইয়ের দেওয়া রান গিয়ে দাঁড়ায় ৭৯-এ।

ম্যাচের শুরুটা অনেকটাই আবাসিনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ৫ ওভারে ২৯ রান করতেই তিন উইকেট হারায় শাহিন। এরপর সিদ্দিকুল্লাহ ও মুহাম্মদ ইসহাক জুটি বাধলে ইনিংসের রং বদলে যেতে শুরু করে। ইসহাক ৩১ বলে ৫০ রান করে আউট হয়ে যান। আরেক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন সিদ্দিকুল্লাহ। তারপরও ধারণা করা হচ্ছিল, শাহিন হান্টার হয়ত সর্বোচ্চ ১৭৫-১৮০ রান করতে পারবে। তবে শেষ ওভারে সব পূর্বাভাস বদলে দেন আমিম জাজাই। আর তাকে বেধড়ক পিটিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ দলীয় সংগ্রহ নিয়ে যান ৬ উইকেট খরচায় ২১৩ রানে।

শেষ ওভারের সেই ধাক্কা সামলাতে পারেনি আবাসিন ডিফেন্ডার। ২১৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৮ ওভার তিন বলে ১২১ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। ফারমানউল্লাহ ৩১ বলে ৪২ এবং বেহার শিনওয়ারির ২০ বলে ৩৮ রান ছাড়া আর কেউ তেমন বড় ইনিংস করতে পারেনি। ৯২ রানের বড় জয় পায় শাহিন হান্টার।