ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে ৬ ইসরায়েলি আহত

জেরুজালেমের কাছে ইসরায়েলি একটি বসতিতে ফিলিস্তিনি এক বন্দুকধারীর গুলিতে ৬ ইসরায়েলি আহত হয়েছে। পরবর্তীতে ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে ওই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী মারা যান। ১ আগস্ট, মঙ্গলবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।

ইসরায়েলের বসতি

অধিকৃত পশ্চিম তীরে বৃহৎ ইসরায়েলি বসতি মালে আদুমিমের একটি শপিংমলের বাইরে গুলি চালানো হয়। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বন্দুকধারী ব্যক্তিকে মোহান্নাদ আল মাজরা হিসাবে শনাক্ত করেছে। ২০ বছর বয়সী নিহত এই ফিলিস্তিনি পশ্চিম তীরের নিকটবর্তী শহর আজারিয়ার বাসিন্দা ছিলেন।

দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক লরা খান বলেছেন, ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী ব্যক্তি ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা গুলিবিদ্ধ ও নিহত হওয়ার আগে ৬ জন ইসরায়েলিকে আহত করেছিল। ফিলিস্তিনি হামলাকারী নিরাপত্তারক্ষীর পোশাক পরে ছিল। 

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চলমান মারাত্মক ইসরায়েলি অভিযানের মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামাস এটিকে ‘বীরত্বপূর্ণ’ বলে প্রশংসা করেছে। তবে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি সংগঠনটি। 

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ১৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।  

এদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি গ্রাম ও শহরগুলোতে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণও অব্যাহত রয়েছে। এই বছরের শুরুতে চরমপন্থী ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ফিলিস্তিনিদের হুওয়ারা গ্রামটিকে নিশ্চিহ্ন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নিয়েছিল ইসরায়েল। তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সেখানে শত শত বসতি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। 

সূত্র: আল জাজিরা