নাইজারে অভ্যুত্থান: রাশিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ নেই, বলছে যুক্তরাষ্ট্র

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার সঙ্গে রাশিয়া জড়িত ছিল, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার নাইজারের ব্যাপারে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। খবর আনাদোলু।

জন কিরবি

হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবির কাছে নাইজারে চলমান পরিস্থিতি সৃষ্টির পেছনে মস্কোর সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাইজারের অভ্যুত্থানের পেছনে রাশিয়া ছিল বা নাইজারকে এটি সামরিক দিক থেকে সমর্থন করেছে বা অন্য কোনো উপায়ে তাদের কোনোর ধরনের সমর্থন জানিয়েছেন এমন কোনো প্রমাণ বাইডেন প্রশাসনের কাছে নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথারই সমর্থন করেছে। তবে সেই সঙ্গে তারা এ-ও বলেছে, নাইজারের এ ঘটনার সঙ্গে রাশিয়া জড়িত না থাকলেও রাশিয়া বা ওয়াগনার গ্রুপের পক্ষে এই দেশ বা আফ্রিকার কোনো দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে। এটি তাদের চরিত্র বহির্ভূত কিছু নয়।

জেনারেল আবদুর রহমান তোচিয়ানি

জন কিরবির এ বিবৃতির মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সহযোগী মাইখাইলো পোডোলিয়াক নাইজারের অভ্যুত্থানের পেছনে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি পরিষ্কার, নাইজারে তথাকথিত ‘সামরিক অভ্যুত্থানের’ পেছনে রাশিয়ার হাত রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে নজরের বাইরে নিয়ে যেতে তারা এ কাজ করেছে।

তিনি দাবি করেন, বর্তমানে বুরকিনা ফাসো ও মালি সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এর ফলে মনে করা হচ্ছে, বৈশ্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুর্বল করা এবং বিশ্বজুড়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পরিকল্পনা রয়েছে রাশিয়ার।

এ সময় জেলেনস্কির এই উপদেষ্টা আরও বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ও তার সহযোগীদের উৎখাত করতে হবে। এতে রাজনৈতিকভাবে রাশিয়ার পুনর্জন্ম হবে এবং বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।

গত ২৬ জুলাই পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে অভ্যুত্থান ঘটায় দেশটির শক্তিশালী প্রেসিডেন্টস গার্ডের সদস্যরা। এ সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম ও তার পরিবারকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে আটকে রাখা হয়। শুক্রবার নিজেকে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট গার্ডের কমান্ডার জেনারেল আবদুর রহমান তোচিয়ানি। এর দুইদিন পর রোববার ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) ব্লকের নেতারা দেশটির গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আবদুর রহমান তোচিয়ানিকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেন।