ব্র্যাভারম্যান: ইরানের ‘আইআরজিসি’ যুক্তরাজ্যের জন্য হুমকি

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। ৬ আগস্ট, রোববার ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য সানডে টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। খবর দ্য নিউ আরব।

সুয়েলা ব্রাভারম্যান

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র দ্য সানডে টাইমসকে জানিয়েছে, ব্রাভারম্যান এমন খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে ইরানের গোয়েন্দা এজেন্টরা যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ইরানি ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নজর রাখার জন্য সংগঠিত অপরাধ চক্রের সদস্যদের নিয়োগ করার চেষ্টা করছে।

সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানের ঘনিষ্ঠ সূত্রটি দ্য সানডে টাইমসকে বলেছে, ‘ইরানের হুমকির ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সবচেয়ে বেশি চিন্তিত। এটি একটি বড় সমস্যা, কারণ তারা অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে। তারা তাদের শাসনকে যারা চ্যালেঞ্জ করে তাদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক।'

যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-ফাইভ এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যে ১০ টি হত্যা ও অপহরণের ষড়যন্ত্রের পেছনে ইরানি সরকার ছিল। ফেব্রুয়ারিতে মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যার সংখ্যা বেড়ে ১৫ হয়েছে।

আইআরজিসি হল ইরানের ইসলামী বিপ্লবের প্রধান অভিভাবক। এছাড়া সিরিয়ার বাশার আল আসাদের পক্ষে ইরানের হস্তক্ষেপসহ দেশটির বৈদেশিক নীতিতে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে এই বাহিনী। এটি ইরানের অর্থনীতির বিশাল অংশকেও নিয়ন্ত্রণ করে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে হিজাবকে কেন্দ্র করে ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরান জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সে সময় বিক্ষোভ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল আইআরজিসি।

এদিকে চলতি বছরের শুরুতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি, আইআরজিসির উপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের উপর ব্যাপক চাপও রয়েছে।