অনুমতি পেলেন না মার্কিন কূটনীতিক

নাইজারে সফররত একজন শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক দেশটির গৃহবন্দী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। বর্তমানে দেশটির ক্ষমতায় থাকা জান্তা গোষ্ঠীর অনুমতি না মেলায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। খবর আরব নিউজ।

ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড

খবরে বলা হয়, সোমবার নুল্যান্ড নাইজারের অভ্যুত্থানকারী জান্তা গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সে বৈঠকে তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তাকে সে অনুমতি দেয়নি।

ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড জানান, অভ্যুত্থানকারীরা বিদেশি চাপের কাছে নত স্বীকার করতে রাজি নন। জান্তা গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা বেশ খোলামেলা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা তাদের লক্ষ্যে অটল। এক্ষেত্রে নাইজারের সংবিধানের তোয়াক্কা তারা করছে না।

নাইজারের জান্তা গোষ্ঠী

নাইজারের রাজধানী নিয়ামেতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে নুল্যান্ড জান্তা নেতৃবৃন্দকে সতর্ক করে বলেন, দেশটিতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনরুদ্ধার না হলে চলমান অনেকগুলো সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। যদি যুক্তরাষ্ট্রের মাপকাঠিতে দেখা যায়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকারকে অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, তাহলে সামরিক সহায়তাসহ বেশকিছু সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ডের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জেনারেল মুসা সালাউ বারমুসহ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত তিনজন কর্নেল। তবে ওই বৈঠকে নাইজারের বর্তমান নেতা ঘোষিত আবদুর রহমান চিয়ানি উপস্থিত হননি। বৈঠকে নুল্যান্ড গৃহবন্দী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম ও তার পরিবারের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এদিকে পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক ব্লকের নেতারা জানিয়েছেন, নাইজারের জান্তা গোষ্ঠী প্রেসিডেন্ট বাজুমকে পুনর্বহাল করার আলটিমেটামে সাড়া না দেওয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে তারা এই সপ্তাহের শেষের দিকে বৈঠকে মিলিত হবেন। নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় বৃহস্পতিবার বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে এই জোটের নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রোববারের মধ্যে বাজুমকে পুনর্বহাল না করা হলে তারা সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবেন। রোববার সেই আলটিমেটাম শেষ হয়। তবে জোটের পক্ষ থেকে সামরিক হস্তক্ষেপের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এছাড়া জোটের বেশ কিছু দেশ সামরিক হস্তক্ষেপের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এদিকে নাইজারের দুই প্রতিবেশি মালি ও বুরকিনা ফাসো দেশটির প্রতি সমর্থন দেখিয়ে সেখানে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে। উভয় দেশ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তারা নাইজারে যেকোনো হস্তক্ষেপকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করবে।