এরদোয়ান: শস্য চুক্তিতে পশ্চিমাদের অবশ্যই ‘প্রতিশ্রুতি’ রাখতে হবে

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ইউক্রেনের শস্য চুক্তিতে অবশ্যই পশ্চিমা বিশ্বকে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। এর মাধ্যমেই কেবল স্থগিত শস্যচুক্তির একটি সমাধান আসতে পারে। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) তিনি এ কথা বলেন। খবর আনাদোলু।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

তিনি বলেন, আঙ্কারা ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানির যে চুক্তি হয়েছিল, তা পুনরুজ্জীবিত করা পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর নির্ভর করছে। চুক্তির সময় তারা রাশিয়াকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার পূরণ করার ওপরই চলমান অচলাবস্থার সমাধান আসতে পারে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক টেলিফোন কলের কথা উল্লেখ করে এরদোয়ান এসব কথা বলেন। চুক্তিতে রুশ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুতিন চুক্তি স্থগিত করেছেন।

শস্য চুক্তি স্থগিত করেছে রাশিয়া

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর জেরে রাশিয়াও ইউক্রেনের শস্য রপ্তানিতে বাধার সৃষ্টি করে। এতে পুরো বিশ্বে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। পরে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আঙ্কারা ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তিতে সই করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। কয়েক দফা এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে গত মাসে এ চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াতে অসম্মতি জানায় রাশিয়া। তারা অভিযোগ করে, ইউক্রেনের অংশটুকু পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হলেও চুক্তিতে রাশিয়ার অংশটুকু পূরণ করা হয়নি।

শস্য চুক্তি থেকে রাশিয়ার সরে আসার এ ঘোষণা পুনর্বিবেচনা করতে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও বিভিন্ন দেশ। এক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে আবারও পুতিনের সঙ্গে আলোচনার ঘোষণা দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তবে গত মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তুরস্কে গিয়ে তাদের পাঁচজন শীর্ষ কমান্ডারকে নিয়ে দেশে ফিরলে আঙ্কারার ওপর ক্ষুব্ধ হয় মস্কো। ইউক্রেনের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী চলমান সংঘাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই পাঁচ কমান্ডারের তুরস্কে থাকার কথা ছিল।

ফলে সব দিক দিয়েই শস্য চুক্তিটি এখন ঝুলে গেছে। এর প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। জাতিসংঘ আশঙ্কা প্রকাশ করছে, শস্য চুক্তিটি চালু না হলে, বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্যাভাব দেখা দেবে।