নাইজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে ফরাসি বাহিনী!

নাইজারের আটককৃত ‘সন্ত্রাসী’কে মুক্ত করা এবং নাইজারকে অস্থিতিশীল করার প্রয়াসে ফ্রান্স দেশের আকাশসীমায় দেওয়া নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছে। বুধবার (৯ আগস্ট) নাইজারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক অভিযোগ করা হয়। তবে ফ্রান্স এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর রয়টার্স।

নাইজারের জান্তাবাহিনী

নাইজারের জান্তা বাহিনীর এক বিবৃতিতে বুধবার অভিযোগ করা হয়, দেশকে অস্থিতিশীল করার বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফ্রান্স নাইজারের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে। জান্তাবাহিনীর মুখপাত্র শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা আমাদু আবদুর রহমান এক ভিডিও বার্তায় ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করার একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নাইজারের জনগণের চোখে জান্তার গ্রহণযোগ্যতা নষ্টের পাশাপাশি একটি নিরাপত্তাহীন পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য তিনি ফ্রান্সকে দায়ী করেন। তবে তিনি তার অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

গত ২৬ জুলাই প্রেসিডেন্ট গার্ডের একটি দল এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। এর দুই দিন পর জেনারেল আব্দুর রহমান চিয়ানি নিজেকে দেশটির নেতা ঘোষণা করেন। তাদের এ অভ্যুত্থানে সমর্থন দেয় দেশটির সামরিক বাহিনী।

নাইজারে ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভ

এদিকে দেশটিতে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে মুক্তি দিয়ে তার হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে আল্টিমেটাম দেয় ১৫ সদস্যের পশ্চিম আফ্রিকান জোট ইকোওয়াস। তবে সে আল্টিমেটামকে কোনো পাত্তা দেয়নি নাইজার। বরং নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে তারা।

এ পরিস্থিতিতে পরবর্তী করণীয় নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার নাইজেরিয়ার রাজধানীতে আবারও বৈঠক বসছে। নাইজেরিয়াসহ কিছু দেশ এক্ষেত্রে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহী হলেও অনেক দেশ অন্য উপায়ে সমাধানের পক্ষে।

উল্লেখ্য, নাইজারে ফ্রান্সের একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে এবং দেশটি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ইউরেনিয়াম উৎপাদনকারী। এই জ্বালানি ফ্রান্সের পারমাণবিক বিদ্যুতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফলে নাইজারের এ অভ্যুত্থান ফ্রান্সের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।