কৃপণ সাকিব, ব্যর্থ লিটন, কোয়ালিফায়ারে গল

ব্যাটে-বলে দারুণ একটা দিন কেটেছে সাকিব আল হাসানের। অভিষেক ম্যাচে ব্যর্থ লিটন দাস। শরিফুল ইসলাম সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১ ওভার বোলিং করার। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাত্র ৮.৩ ওভারে জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় নম্বরে থেকে কোয়ালিফায়ার করল গল টাইটান্স।

উইকেট শিকারের পর সাকিবদের উল্লাস

টানা দুই জয় দিয়ে আসর শুরু, এরমধ্যে একটি সুপার ওভারে। এরপর টানা চার ম্যাচে হেরে যখন গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল তখনই টানা দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ার করল সাকিব-দাসুন শানাকারা।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কলম্বো স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন গল টাইটান্সের অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শানাকার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে ভুল করেননি গলের বোলাররা। লাহিরু কুমারার অসাধারণ বোলিংয়ে মাত্র ১৯ রানে কলম্বোর দুই ওপেনার ফেরেন সাজঘরে। কলম্বো শিবিরে তৃতীয় ধাক্কাটি দেন প্রোটিয়া বোলার তাব্রেইজ শামসি। এক রানের ব্যবধানে চতুর্থ উইকেট হারায় কলম্বো।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় কলম্বো। কিন্তু দলীয় ৬৩ রানে নুওয়ানিদু ফার্নান্দো আউট হলে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে কলম্বোর লোয়ারঅর্ডার। শামসির ৪ ও সেকুগে প্রসন্নের ৩ উইকেটে মাত্র ৭৪ রানে অলআউট হয় কলম্বো। কলম্বো তাদের শেষ পাঁচ উইকেট হারায় মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে। গলের হয়ে সবচেয়ে কৃপণ বোলিং করেন সাকিব। ৩.৪ ওভার বোলিং করে ১৫ ডটসহ মোট ৮ রানে ইফতেখার আহমেদের উইকেট নেন সাকিব।

কলম্বোর দেওয়া ৭৫ রানের লক্ষ্য ১১.১ ওভারে টপকাতে পারলেই কোয়ালিফায়ার করবে গল। এমন সমীকরণের ম্যাচে শুরুটা ভাল হয়নি গলের। মাত্র ১৩ রানে ভানুকা রাজাপাকসের উইকেট হারায় গল। এরপর দ্রুত ফিরে যান অভিষিক্ত লিটন দাস। ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে গল যখন চাপে তখনই লাসিথ ক্রসপুলেকে নিয়ে জুটি বাঁধেন সাকিব।

সাকিবের ছোঁয়া পেয়ে যেন বদলে যান ক্রসপুলে। চার-ছক্কায় মাতিয়ে তোলেন গ্যালারি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে অসাধারণ ব্যাটিংয়ে মাত্র ৮.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় গল টাইটান্স। ক্রয়পুলের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৪২ রান। এছাড়াও সাকিব খেলেন ১৫ বলে ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস।