জেরুজালেমে ফের দূতাবাস স্থানান্তর করবে প্যারাগুয়ে

লাতিন আমেরিকান দেশ প্যারাগুয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো পেনা ইসরায়েলে তাদের দূতাবাস আবারও জেরুজালেমে স্থানান্তর করার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৮ সালের মে মাসে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে প্যারাগুয়ের দূতাবাস স্থানান্তর করা হয়েছিল। পরে সেপ্টেম্বর মাসে দেশটির নতুন নির্বাচিত সরকার দূতাবাস তেল আবিবে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। খবর দ্য নিউ আরব।

প্যারাগুয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো পেনা

১৬ আগস্ট, বুধবার ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জানিয়েছেন, লাতিন আমেরিকান দেশটি চলতি বছরেই জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করবে। ইসরায়েলও প্যারাগুয়ের রাজধানী আসুনসিওনে তার দূতাবাস পুনরায় চালু করবে।

১৫ আগস্ট, মঙ্গলবার প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনার সঙ্গে দেখা করেন। এরপর পেনা প্যারাগুয়ের দূতাবাস আবারও জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন। তিনি নির্বাচনী প্রচারণার চালানোর সময় জেরুজালেমে প্যারাগুয়ের দূতাবাস প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

কোহেন বলেছেন, ‘জেরুজালেমে প্যারাগুয়ের দূতাবাসের পাশাপাশি আসুনসিওনে ইসরায়েলি দূতাবাস ফের খোলা হবে। ফলে ইসরায়েলের আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অবস্থান শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি দেশগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার হবে৷’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সম্পর্ক জোরদার করতে থাকব। এই দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল রাষ্ট্র এবং ইহুদি জনগণের পাশে আছে।'

ইসরায়েল জেরুজালেমকে তার রাজধানী বলে দাবি করে থাকে। দেশটি তার এই দাবির পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে আগ্রহী। এদিকে ফিলিস্তিনিরা অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করতে চায়। জাতিসংঘও পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ইসরায়েলের তেল আবিবে তাদের দূতাবাস খুললেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, হন্ডুরাস এবং গুয়াতেমালার দূতাবাস জেরুজালেমে রয়েছে।

প্যারাগুয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে প্রথমবার তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করে। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের শেষের দিকে নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মারিও আব্দো বেনিতেজ প্যারাগুয়ের দূতাবাস তেল আবিবে সরিয়ে নেন। জবাবে ইসরায়েল তার আসুনসিওনের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়।