আপনি পড়ছেন

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষে অন্তত ৫৫ জন নিহত এবং ১৪৬ জন আহত হয়েছে। এক বছরে দুই পক্ষের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা। লিবিয়ার মিডিয়াগুলো জানিয়েছে, দুই দিনের সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।

libyan security forces tripoli libyaলিবিয়ান সিকিউরিটি ফোর্সেস

১৪ আগস্ট, সোমবার রাতে প্রভাবশালী ৪৪৪ ব্রিগেড এবং আল রাদা স্পেশাল ডিটারেন্স ফোর্সের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। ১৫ আগস্ট, মঙ্গলবার পর্যন্ত ভয়াবহ এই সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল। ২০১১ সালে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত করার পর থেকে ক্ষমতার জন্য লড়াই করা অগণিত মিলিশিয়াদের মধ্যে এই দুটি গোষ্ঠী রয়েছে।

১৬ আগস্ট, বুধবার লিবিয়ার আল-আহরার টিভি ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সেন্টারের মুখপাত্র মালেক মেরসিতের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দুই দিনের এই সংঘর্ষের ফলে অন্তত ৫৫ জন নিহত এবং ১৪৬ জন আহত হয়েছে। চিকিৎসকরা এর আগে মৃতের সংখ্যা ২৭ এবং ১০৬ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার প্রতিদ্বন্দ্বী আল রাদা বাহিনী, ৪৪৪ ব্রিগেডের প্রধান কর্নেল মাহমুদ হামজাকে আটক করে। এরপর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। 

মঙ্গলবার রাতে আল রাদা বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ-পূর্ব শহরতলির সউগ এল-জুমার সামাজিক কাউন্সিল ঘোষণা করেছে, রাজধানীতে অবস্থিত জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারের প্রধান প্রধানমন্ত্রী আবদেলহামিদ দেইবাহ এর সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। এর ফলে হামজাকে একটি নিরপেক্ষ দলের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

টেলিভিশনে প্রচারিত একটি ঘোষণায় কাউন্সিল বলেছে, বাহিনীর কমান্ডারের হস্তান্তরের পরে একটি যুদ্ধবিরতি হবে। মঙ্গলবার রাতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। উভয় সশস্ত্র গোষ্ঠীই দেইবাহ সরকারের সঙ্গে জোটবদ্ধ আছে।   

গত বছরের আগস্টে, ত্রিপোলিতে বিভক্ত লিবিয়ার দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসনের মধ্যে লড়াইয়ের ঘটনায় ৩২ জন নিহত এবং ১৫৯ জন আহত হয়েছিল। এই প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দল ক্ষমতার জন্য এই লড়াই করেছিল। 

২০১১ সালে ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহীদের কারণে গাদ্দাফির পতন ঘটে। এরপর থেকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে লিবিয়া অস্থিতিশীল অবস্থায় আছে। বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশের ক্ষমতা দখলের জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে।

সূত্র: এএফপি

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.