বড় ধরনের শাস্তির মুখে দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী স্যামুয়েলস

উইন্ডিজের হয়ে মাতিয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেট। ২০১২ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ধারণ করেছিলেন রুদ্রমূর্তি। ক্রিকেটের বাইশ গজে পিওর জেন্টলম্যানের চরিত্রে দেখা গেলেও এবার নায়ক থেকে খলনায়ক হতে চলছেন সাবেক ক্যারিবিয়ান তারকা মারলন স্যামুয়েলস। দুর্নীতির দায়ে দ্রুতই শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন স্যামুয়েলস, এমনটাই জানা যাচ্ছে।

মারলন স্যামুয়েলস

বলা হচ্ছে, এক বা দুটি নয়, দুর্নীতিবিরোধী চারটি ধারা ভঙ্গ করেছেন স্যামুয়েলস। প্রথমটি ২০১৯ সালে, আবুধাবি টি-টেন লিগে। এরপর ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলর (আইসিসি)। যেখানে উঠে আসে চারটি দুর্নীতিবিরোধী কাজ।

দুর্নীতি চারটি হলো-

এক) ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করতে পারে এমন পরিস্থিতিতে কারও কাছ থেকে পাওয়া কোনো উপহার, অর্থ, আতিথেয়তা কিংবা অন্য সুবিধাপ্রাপ্তির কথা দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার কাছে প্রকাশ না করা।

দুই) ৭৫০ ডলার বা তার বেশি মূল্যের আতিথেয়তার রিসিট না দেখানো।

তিন) দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার তদন্তে সহায়তা না করা।

চার) তদন্তের জন্য প্রাসঙ্গিক হতে পারে এমন তথ্য গোপন করে দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তার তদন্তে বাধা বা বিলম্বিত করা।

উক্ত চারটি ঘটনার সবগুলোর প্রমাণিত হয়েছে দুর্নীতিবিরোধী স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে। মূলত, আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কোডের ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ নম্বর ধারা ভেঙেছেন স্যামুয়েলস। এর ফলে বড় শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন তিনি।

দুর্নীতির দায়ে এবারই প্রথম শাস্তির মুখে পড়ছেন স্যামুয়েলস, বিষয়টি এমন নয়। এর আগে ২০০৮ সালে এমন ঘটনায় দুই বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।