এশিয়া কাপে টাইগারদের সেরা একাদশে নেই মাশরাফি-রিয়াদ

নামের পাশে রয়েছে ১৮ উইকেট, দেশের পক্ষে সেরা উইকেট শিকারী বোলারদের তালিকায় রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। তবুও এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সেরা একাদশে জায়গা হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার। অবিশ্বাস্য মনে হলেও মাশরাফিকে বাদ রেখেই সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের বাইবেলখ্যাত উইজডেন।

নাসির হোসেন (বামে) মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আতাহার আলী (মাঝে) মাশরাফি বিন মুর্তজা (ডানে)

এশিয়া কাপের বাকি মাত্র ৯ দিন। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় বসবে এবারের হাইব্রিড মডেলের এশিয়া কাপ। আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে মাঠ ও মাঠের বাইরে। এবার সেখানে যোগ দিয়েছে উইজডেন।

মাশরাফির জায়গা না হলেও বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ধারাভাষ্যকারদের একজন আতাহার আলী খানকে একাদশে রেখেছে তারা। একাদশে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও।

উইজডেনের সেরা একাদশে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়েছেন তামিম ইকবাল খান ও ইমরুল কায়েস। এশিয়া কাপের ওয়ানডে ফরম্যাটে দীর্ঘদিন সার্ভিস দিয়েছেন দু'জন। তামিমের নামের পাশে রয়েছে ৫১৯ রান, ৭ ইনিংসে ইমরুলের রান ২৪৮। তালিকায় তৃতীয় নামটি এনামুল হক বিজয়ের। মাত্র একটি এশিয়া কাপ খেলা বিজয় ৪ ইনিংসে করেন ২২৭ রান।

এরপর চার নম্বরে রয়েছেন আতহার আলী খান। বাংলাদেশের আইসিসির পূর্ণ সদস্য হবার আগেই নিজের এশিয়া কাপ পর্ব শেষ করেন এই ব্যাটার। সে সময়ে দেশের হয়ে ৩৬ দশমিক ৮০ গড়ে ৩৬৮ রান আতহার। দেশের পক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি। এরপর রয়েছেন এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা মুশফিকুর রহিম। এশিয়া কাপে উইকেটরক্ষক এই ব্যাটারের রান ৬৯৯।

স্বাভাবিকভাবেই তালিকায় রয়েছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ১০৩ দশমিক ৭ স্ট্রাইকরেটে ৪০২ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১৯ উইকেট শিকার করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তালিকায় এরপরেই রয়েছে চমক। জায়গা পেয়েছেন নাসির হোসেন। ব্যাট হাতে ২৩৭ রান করেই জায়গা পেয়েছেন একাদশে।

তালিকায় শেষ চারজন বোলার। মোহাম্মদ রফিকের সঙ্গী এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার আব্দুল রাজ্জাক। বাকি দু'জন পেস বোলার। ৮ ম্যাচে ৮ উইকেট শিকার করে জায়গা করে নিয়েছেন রুবেল হোসেন। অপর বোলার ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট শিকারী মোস্তাফিজুর রহমান।

উইজডেনের একাদশে ৮ উইকেট শিকারী বোলার রুবেলের জায়গা হলেও জায়গা হয়নি ১৮ উইকেট শিকারী বোলার মাশরাফির। এছাড়াও ব্যাট হাতে ৩২৮ রান ও বল হাতে ১০ উইকেট শিকার করেও জায়গা পাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।