সালমার বিরল কীর্তি, ৫ বছরে ৩ বিশ্বকাপ

তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় স্বপ্নপূরণ করেছে স্পেন। ফিফা নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ট্রফি জিতেছে তারা। রোববার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন স্প্যানিশ মেয়েরা। অথচ তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হয়েছিল জাপানের বিপক্ষে ৪-০ গোলে হার দিয়ে! প্রায় ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তন করেছে তারা।

ফিফা নারী বিশ্বকাপে স্পেনের ট্রফি জয়ে অবদান রেখেছেন সালমা

স্পেনের অভাবনীয় সাফল্যের নায়কদের মধ্যে অন্যতম সালমা সেলেস্তে পারায়ুয়েলো আইঙ্গোনো। আসরে দুটি গোল করেছেন এই লেফট উইঙ্গার। এ ছাড়া টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ খেলেছেন তিনি। পুরস্কার হিসেবে বিশ্বকাপের উদীয়মার সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিতেছেন ১৯ বছর বয়সী সালমা। তবে এটাই তার প্রথম বিশ্বকাপ জয় নয়।

পাঁচ বছরের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেলেন সালমা। এর আগে ২০১৮ সালে স্পেন অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। গত বছর স্পেনের অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জয়েও বিরাট অবদান রেখেছেন এই ফরওয়ার্ড। বয়সভিত্তিক ফুটবলে পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে গত বছরই মূল দলে সুযোগ পান সালমা।

বড় মঞ্চে সুযোগ পেয়ে নিজের জাত আরও একবার চেনালেন স্প্যানিশ তারকা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তিনি জিতলেন আলাদা তিনটি বিশ্বকাপ। প্রতিভাবান এই খেলোয়াড়কে স্পেন ‍ফুটবলের আগামী দিনের অগ্রদূত ভাবা হচ্ছে। বয়সভিত্তিক এবং জাতীয় দল মিলিয়ে এতো কম সময়ে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি নেই আর কারোরই।

সালমার জন্ম স্পেনের জারাগোজা রাজ্যে। তার বাবা স্পেনেরই। কিন্তু মা ছিলেন আফ্রিকান; তথা ইকুয়েটোরিয়াল গিনির। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে তিনি। সালমার অবশ্য দুজন ভাই আছেন। দুজনই ফুটবলার। ভাইদের মতো সালমাও ফুটবলকে বানিয়েছেন জীবনের ধ্রুবতারা। স্প্যানিশ ফুটবল ক্লাব জারাগোজা একাডেমি থেকে তার উত্থান।

এই ক্লাবের মূল দলেই অভিষেক হয় সালমার। ২০১৯ সালে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরুর কিছুদিন পর তাকে কিনে নেয় ভিয়ারিয়াল। এখানে তিন বছর কাটানোর পর গত বছর বার্সেলোনায় পাড়ি জমান সালমা। কাতালানদের হয়ে এ পর্যন্ত ২৪টি ম্যাচ খেলে ১৪টি গোল করেছেন তিনি।