২০ মিনিটেই মুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প

২০২০ সালে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে করা মামলায় জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টি কারাগারে আত্মসমর্পণ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তিনি আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে মাত্র ২০ মিনিট কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো আত্মসমর্পণ করেলন তিনি। খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।

ট্রাম্প

গত ১৪ আগস্ট দায়ের করা এক অভিযোগে ট্রাম্প ও তার ১৮ সহযোগীকে ২০২০ সালে জর্জিয়ায় নির্বাচনের ফল বদলে দেওয়ার চেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ৯৮ পৃষ্ঠার এক বিস্তারিত প্রতিবেদনে ট্রাম্পসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ৪১টি অভিযোগ আনা হয়। তাদেরক সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে। জর্জিয়ার গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে র‌্যাকিটেরিং ইনফ্লুয়েন্সড অ্যান্ড করাপ্ট অর্গানাইজেশন (আরআইসিও) আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনেন।

এর জেরে ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তাদের আত্মসমর্পণের সর্বশেষ তারিখ ছিল ২৫ আগস্ট। এর আগেই গত বুধবার ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী রুডি গিউলিয়ানিসহ এ মামলার অন্য আসামিরা আত্মসমর্পণ করেন। বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করেন ট্রাম্প। তখন তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেওয়া হয়। তবে এর স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ২০ মিনিট। দুই লাখ ডলারের জামিনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

আদালতের বাইরে ট্রাম্প সমর্থকদের ভিড়

ট্রাম্প অবশ্য তার ওপর আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি যাতে আর প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী না হতে পারেন, সে জন্য তার বিরুদ্ধে এসব চক্রান্ত করা হচ্ছে।

এদিকে গ্রেপ্তারের পর প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কারাগারে তার মুখমণ্ডলের ছবি (মাগশট) নেওয়া হয়েছে। এর বর্ণনায় বলা হয়েছে, ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার ট্রাম্পের ওজন ৯৭ কেজি ৫০০ গ্রাম। চোখের রং নীল এবং চুলের রং সোনালী বা স্ট্রবেরি।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর ভোটের আগে থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীরা বেশকিছু অপরাধ করেছেন। এর মধ্যে ২০২০ সালের নির্বাচন যাচাই-বাছাইয়ে আইনপ্রণেতাদের গঠিত কমিটিতে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা, নির্বাচনী সরঞ্জাম ভাঙচুরের অভিযোগও আনা হয়েছে ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে, জর্জিয়ার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোয় ভোটারদের তথ্য চুরি ও ব্যালটের ছবি তুলেছেন ট্রাম্পের সমর্থকেরা। এ ছাড়া তাঁর সমর্থকেরা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হয়রানিও করেছেন।

এর আগে গত এপ্রিলে স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই সময় তিনি নিউইয়র্কে ম্যানহাটানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।