এশিয়ার সেরা মুরালি-মালিঙ্গা, আছেন রাজ্জাক-সাকিবরাও

এশিয়া কাপের বাকি মাত্র ৪ দিন। ৩০ আগস্ট শুরু হওয়া আসরকে সামনে রেখে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এশিয়ার দলগুলোদের নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে বোলারদের রাজা লঙ্কান গ্রেট মুত্তিয়া মুরালিধরন। বাংলাদেশের পক্ষে সেরা স্পিনার আব্দুল রাজ্জাক।

শীর্ষে মুত্তিয়া মুরালিধরন, দেশের পক্ষে সেরা রাজ্জাক

১৯৮৪ সালে প্রথমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজিত হয় এশিয়া কাপ। তখন পরিচিত ছিল রথম্যান্স এশিয়া কাপ নামে। প্রথম আসরে বল হাতে সর্বোচ্চ (৪) উইকেট শিকার করেছিলেন ভারতের রবি শাস্ত্রী।

দু'বছর পর ১৯৮৬ সালে আবারও আয়োজিত হয় এশিয়া কাপ। সেবার নাম দেওয়া হয় জন প্লেয়ার গোল্ডলিফ ট্রফি। আসরে মাত্র ৩ ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করে আলোচনায় এসেছিলেন আবদুল কাদির। পাকিস্তানের জার্সিতে ১৯৮৪-৮৮ আসর পর্যন্ত মোট ৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

এরপর সময়ের সঙ্গে বদলে যেতে থাকে সবকিছু। এশিয়া কাপের উত্থানের গল্পের নায়করা ক্রমেই চাপা পড়তে থাকে তরুণদের ভীড়ে। ১৯৯৫ সালে প্রথমবার এশিয়া কাপ খেলতে নামেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। এরপর প্রায় ১৫ বছর এশিয়া কাপে অংশ নেন। এ সময়ে ২৪ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছেন এই কিংবদন্তি স্পিনার।

মুত্তিয়ায় পরেই রয়েছেন আরেক লঙ্কান গ্রেট লাসিথ মালিঙ্গা। বল হাতে রীতিমতো প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের কাঁপন ধরিয়েছিলেন মালিঙ্কা। ২০১৮ সালে সবশেষ এশিয়া কাপ খেলা মালিঙ্গা মাত্র ১৪ ম্যাচে শিকার করেছেন ২৯ উইকেট।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন অজন্তা মেন্ডিস। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ড মোট ৮ ম্যাচে শিকার করেছেন ২৬ উইকেট। ১২ ম্যাচে ২৬ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন পাকিস্তানের সাঈদ আজমল। সেরা পাঁচের পঞ্চম নামটিও শ্রীলঙ্কার, চামিন্দা ভাসের। ১৯ ম্যাচে ২৩ উইকেট শিকার করেছে তিনি।

সেরা পাঁচে বাংলাদেশের কেউ না থাকলেও সেরা সেরা দশে আছেন সাকিব আল হাসান ও রাজ্জাক।  লাল-সবুজের জার্সিতে ১৮ ম্যাচে ২২ উইকেট শিকার করে দেশের পক্ষে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার রাজ্জাক।

বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (২৩) উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান। এরপরই আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, তার শিকার ১৯ ম্যাচে ১৮ উইকেট। বর্তমানে খেলছেন এমন বোলারদের মাঝে আছেন মোস্তাফিজুর রহমান, তার সংগ্রহ ৫ ম্যাচে ১০  উইকেট।