রেকর্ড জয়ে পাকিস্তানের শুরু

নেপালের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়টা অনুমিতই ছিল। জল্পনা যা ছিল জয়ের ব্যবধান নিয়ে। আজ বুধবার এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বাবর আজমের দল জিতল ইতিহাস গড়ে। ওয়ানডে সংস্করণে নিজেদের মাঠে রেকর্ড ২৩৮ রানের জয় দিয়ে হারানো রাজত্ব উদ্ধারের অভিযান শুরু করল পাকিস্তান।

৬৭ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন ইফতিখার আহমেদ

মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রানোৎসব করে পাকিস্তান; ছাড়ায় তি শ’ রানের গণ্ডি। অধিনায়ক বাবর আজম ও ইফতিখার আহমেদের ঝোড়ো শতকের ওপর দাঁড়িয়ে ছয় উইকেটে ৩৪২ রানের বিশাল সংগ্রহ তোলে স্বাগতিকরা। সেই রানেই চাপা পড়ল খর্বশক্তির দল নেপাল।

এশিয়া কাপে নিজেদের অভিষেক ম্যাচে নেপাল গুটিয়ে গেছে ১০৪ রানে। ২৪ ওভারও খেলতে পারেনি তারা। চার উইকেট নিয়ে নেপালিজদের ধসিয়ে দিয়েছেন শাদাব খান। দুটি করে শিকার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হ্যারিস রউফের। খালি হাতে ফেরেননি পাকিস্তানের অন্য দুই বোলার নাসিম শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজও।

বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে মুদ্রার দুই পিঠই দেখে ফেলে নেপাল। পরপর দুই চারে শুরু হয় তাদের ইনিংস। এরপরই ছন্দপতন। জোড়া আঘাতে প্রত্যাবর্তন করেন পাকিস্তানি পেসার আফ্রিদি। দলীয় ১৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় নেপাল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আরিফ শেখ ও সম্পাল কামি।

৫৯ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন হয় আরিফের বিদায়ে। ২৬ রানে আউট হন তিনি। তার আউটেই ফের মড়ক লাগে নেপালের ইনিংসে। দ্রুত গতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। কামি দলীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন। ১৩ রানে বিদায় নেন গুলসান ঝা। দলটির বাকি আট ব্যাটার যেতে পারেননি দশকের ঘরে।

ওয়ানডে ফরেমেটে ঘরের মাঠে এটাই সবচেয়ে বড় জয় পাকিস্তানের। সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে তৃতীয় সর্বোচ্চ জয়। তাদের অন্য দুটি জয় আয়ারল্যান্ড (২৫৫) ও জিম্বাবুয়ের (২৪৪) বিপক্ষে। আর নিজেদের মাঠে পাকিস্তানের আগের রেকর্ড জয়টি ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০০৫ সালে করাচিতে সেই ম্যাচে তারা জিতেছিল ১৬৫ রানে। এবার নিজেদের রেকর্ডটা নতুন করে লিখল পাকিস্তান।

ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি বাবরদেরও। ২৫ রানে দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম-উল-হককে হারায় তারা। এরপর রিজওয়ানকে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন বাবর। রিজওয়ান ৪৪ রানে সাজঘরে ফিরলেও টিকে থাকলেন বাবর। ইফতিখারকে নিয়ে ২১৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। যা পঞ্চম উইকেট জুটিতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ।

১৩১ বলে ১৪টি চার ও চার ছক্কায় ১৫১ রান করে শেষ ওভারে আউট হন বাবর। ওয়ানডেতে এটা তার ১৯তম শতক। তবে ইফতিখারের প্রথম। তিনি ছিলেন আরও বিধ্বংসী। ৭১ বলে ১১টি চার ও চার ছক্কায় ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ইফতিখার। পাকিস্তানের পতন হওয়া ছয় উইকেটের দুটি নিয়েছেন কামি।