‘এরদোয়ানের রাশিয়া সফর শস্য চুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং তার রুশ প্রতিপক্ষ ভ্লাদিমির পুতিন ৪ সেপ্টেম্বর, সোমবার রাশিয়ার সোচিতে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে মূলত কৃষ্ণ সাগরের শস্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চান তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এরদোয়ানের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তুরস্ক মস্কোকে এই চুক্তিতে ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তাই এটিকে কেন্দ্র করেই আলোচনা হবে।

রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ভ্লাদিমির পুতিন

তুর্কি প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্রনীতি ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা আকিফ ছাতে কুলুছ টিভি চ্যানেল এ হাবেরকে বলেছেন, ‘আমরা এখানে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছি। আমরা শস্য করিডোর চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সারা বিশ্ব থেকে শক্তিশালী সমর্থন দেখতে পাচ্ছি।' 

তিনি আরও বলেছেন, ‘শস্য চুক্তির বর্তমান অবস্থা নিয়ে সোমবারের শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনা করা হবে। যদিও আমরা সতর্ক আছি, তবে আমরা এই ব্যাপারে সাফল্য অর্জনের আশা করছি। কারণ এটি এমন একটি পরিস্থিতি যা সমগ্র বিশ্বকে প্রভাবিত করছে।' 

এদিকে ৩ সেপ্টেম্বর, রোববার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির শস্য রপ্তানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ দানিয়ুব নদীর বন্দরের অবকাঠামোতে রাশিয়া ড্রোন হামলা করেছে। রোববার ওডেসার দক্ষিণাঞ্চলে এই হামলায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছে।

গত বছরের জুলাই থেকে দানিয়ুব ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির প্রধান রুট হয়ে উঠেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর দেশটির শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট শুরু হয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ইউক্রেন এবং রাশিয়া। এর ফলে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে নিরাপদে রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। চলতি বছরের জুলাইয়ে রাশিয়া এই চুক্তি থেকে সরে আসে।

এই বিষয়ে কুলুছ বলেছেন, ‘এখানে, রুশ নেতার সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং পুতিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এই ইস্যুতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।' 

সূত্র: রয়টার্স