বিদেশে জয় দেখতে ধৈর্য ধরতে হবে, মনে করেন তামিম

বেশ কিছুদিন ধরেই একটা শোনা যাচ্ছিলো। প্রশ্ন আসছিলো নানা দিক থেকে; দেশে মাটির সাফল্য বিদেশে মাটিতে বাংলাদেশ দেখাতে পারবে তো? অনেকে তো বলছিলো, বাংলাদেশ পারলে বিদেশের মাটিতে ঘরের মতো জিতে দেখাক। ওই প্রশ্নের উত্তরেই দলের এক নম্বর ওপেনার বলছেন, ধৈর্য ধরতে হবে।

নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবার নিউজিল্যান্ডে উড়ে যান তামিমরা। দেশটিতে স্বাগতকিদের বিরুদ্ধে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। দেশের মাটিতে তাদেরকে দুইবার হোয়াইটওয়াশ করার স্মৃতি থাকলেও তাদের দেশে গিয়ে বরাবরই তামিমদের ফিরতে হয়েছে খালি হতে।

তাই প্রথম চ্যালেঞ্জটা ছিলো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে হারানো। সেই চ্যালেঞ্জটাতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ‘ডাহা ফেল’।

তিন ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর এখন টি-টোয়েন্টিতেও একই পরিণতি চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশকে। এই পরিস্থিতে তাই চরম হতাশ বাংলাদেশের সমর্থকরা। তামিম বললেন, ‘আমি জানি সমর্থকরা কতোটা হতাশ। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমরা বিদেশে খেলছি।’

তামিম আরো বলেন, ‘আমাদের দলের ২২ জনের মধ্যে ১০ জনই এ ধরনের কন্ডিশনে প্রথমবার খেলছে। সুতরাং বিদেশে সাফল্য পেতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে। কদিন আগে ইংল্যান্ড ভারত সফরে গিয়ে ৪-০ ব্যবধানে হেরে গেছে। অথচ তারা কতো ভালো দল।’

তামিম বলছেন, ‘ঘরের মাঠে আমরা এখন যে সফলতা পাচ্ছি, তার জন্যও কিন্তু বছর দশেক অপেক্ষা করতে হবে। বিদেশের মাটিতে সাফল্য পেতেও আমাদের এমন ধৈর্য ধরতে হবে।’

নিউজিল্যান্ডে গিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ হারলেও আশা হারাচ্ছেন না তামিম। বলছেন, ‘আশা করি এখন থেকে আমরা একটা দুটো জয় নিয়ে ফিরতে পারবো। হেরে যাওয়া পাঁচ ম্যাচেই কিন্তু আমরা জয়ের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলাম। সামনেও এ রকম করতে হবে এবং ভুল কমিয়ে আনতে হবে, তাহলেই মিলবে সফলতা।’

নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ আর তিনটি ম্যাচই খেলবে। এর মধ্যে একটি টি-টোয়েন্টি। পরের দুটি টেস্ট। টেস্টে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদেরকে হারানো এখনো বাংলাদেশের জন্য প্রায় কষ্ট- কল্পনা। তবে টি-টোয়েন্টিতে সময় মতো ভালো খেললে মিলতেও পারে সফলতা। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়!