কাতারের আমিরের সঙ্গে দেখা করলেন সুদানের সেনাপ্রধান

সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে দেখা করেছেন। এপ্রিলে সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি তার তৃতীয় বিদেশ সফর ছিল। এর আগে তিনি মিশর এবং দক্ষিণ সুদান সফর করেছিলেন।

বৈঠকের ছবি

বৃহস্পতিবার কাতারের রয়েল কোর্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, রাজধানী দোহায় সুদানের সেনাপ্রধানকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। এরপর তিনি শেখ তামিমের সঙ্গে সুদানের পরিস্থিতির সর্বশেষ অগ্রগতি এবং দেশটি যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

কাতারের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে বুরহান দোহা ত্যাগ করেন। 

গত এপ্রিলে সুদানের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মোহাম্মদ হামদান দাগলোর নেতৃত্বাধীন আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) লড়াই শুরু করে। দাগলো সুদানি সেনাপ্রধান বুরহানের সাবেক ডেপুটি ছিলেন। কিন্তু ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে এই দুই জেনারেল সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। রক্তক্ষয়ী এই সংঘাতের ফলে এ পর্যন্ত ৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।  

সুদানে সংঘাত শুরু হওয়ার পর সেনাপ্রধান বুরহান রাজধানী খার্তুমে সামরিক সদর দপ্তরের অভ্যন্তরে কয়েক মাস অবরোধের মধ্যে ছিলেন। তিনি আগস্টের শেষ পর্যন্ত সুদানে অবস্থান করেছিলেন। 

এদিকে ৬ সেপ্টেম্বর, বুধবার বুরহান আরএসএফকে বিলুপ্ত করার একটি ডিক্রি জারি করে। অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাগলোর ভাই সিনিয়র কমান্ডার আবদেলরহিম হামদান দাগলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। 

সুদানের ক্ষমতাসীন ট্রানজিশনাল সার্বভৌম কাউন্সিল একটি বিবৃতিতে বলেছে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই বাহিনীর বিদ্রোহ, নাগরিকদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দেশটির অবকাঠামোর ওপর ইচ্ছাকৃত নাশকতার কারণে এই ডিক্রি জারি করা হয়েছে।  

মানবাধিকার কর্মীরা দেশটির পশ্চিমে দারফুর অঞ্চলে ধর্ষণ, লুটপাট, নৃশংসতা এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের গণহত্যার জন্য আরএসএফ এবং তাদের সহযোগী আরব মিলিশিয়াদের দায়ী করেছে। এছাড়া বেসামরিক এলাকায় নির্বিচারে বোমা হামলার জান্য সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

সূত্র: দ্য নিউ আরব