মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন আইন ও সংস্থার কথা বলেলেন ফিলিপ

ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড ফিলিপ দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নতুন একটি আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তার আত্মজীবনীতে বলেছেন, ফ্রান্সে ইসলামকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি নতুন আইন এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রয়োজন হতে পারে। ১৭ সেপ্টেম্বর, রোববার ফরাসি ম্যাগাজিন লোবস এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

এডুয়ার্ড ফিলিপ

এডোয়ার্ড ফিলিপ ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর অধীনে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ‘ডেস লিউক্স কুই ডিসেন্ট’ নামে তার সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনীতে ফরাসি মুসলিমদের নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।  

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘মুসলমানদের জন্য একটি আইন এবং একটি নির্দিষ্ট সংস্থা তৈরি করা প্রয়োজন হতে পারে।'  

প্রথমবার এডুয়ার্ড ফিলিপের মতো রাজনৈতিক মর্যাদার কেউ ফরাসি ধর্মনিরপেক্ষতার বাইরে গিয়ে শুধুমাত্র মুসলমানদের লক্ষ্য করে পৃথক একটি আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। তার এ ধরনের পরামর্শ ফ্রান্সে বসবাস করা মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অবমাননাজনক।       

লোবস এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপ একটি সাক্ষাতকারে তার এই মতামত ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ফ্রান্সের ১৯০৫ সালের আইন, যা ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধারণ করে, তা সম্ভবত ইসলামের বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে মোকাবেলা করতে সক্ষম নয়।' 

ফ্রান্সের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা মূলধারার জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে যেতে আগ্রহী নন। নিজের ধর্ম এবং সংস্কৃতির কারণে ফরাসি মুসলিমরা প্রায়ই বৈষম্যের শিকার হন।  

সম্প্রতি ফরাসি স্কুলগুলোতে আবায়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আবায়া মুসলিম নারীদের পরিধান করা একটি শালীন পোষাক। এছাড়া এর আগে হিজাবের উপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এ ধরনের ধর্মীয় পোশাক ফরাসি ধর্মনিরপেক্ষ নীতির লংঘন বলে সরকার এগুলো নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নেয়। ফলে সবকিছু মিলিয়েই ফরাসি মুসলিম সম্প্রদায় বেশ চাপের মধ্যেই আছেন।

সূত্র: দ্য নিউ আরব