কাতার: ইরান-মার্কিন বন্দী বিনিময় চুক্তি দুই রাষ্ট্রের মধ্যে 'আস্থা পুনর্গঠন' করেছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তিতে মধ্যস্থতায় করায় কাতারের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন কাতারি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি। তিনি জানিয়েছেন, এই চুক্তি চিরশত্রু দুই দেশের মধ্যে আস্থা পুনর্গঠন করতে সাহায্য করেছে।

শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি

কাতারের প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার মার্কিন মিডিয়া সিএনএনে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে এই মন্তব্য করেছেন। বন্দী বিনিময় চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার পর প্রথমবার তিনি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন।

আল থানি বলেছেন, ‘কাতার বন্দীদের তাদের পরিবারে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছে দেখে আমরা খুব গর্বিত। গতকাল যা ঘটেছে তা ছিল দুই দেশের মধ্যে আত্মবিশ্বাস পুনর্গঠনের জন্য একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ।' 

এই চুক্তির সফলতার পর যুক্তরাষ্ট্র - ইরান নতুন একটি পারমাণবিক চুক্তি করতে সম্মত হতে পারে বলে অনেকেই আশা করছেন। এই বিষয়ে আল থানি বলেছেন, ‘আমি আশা করি উভয় দেশই বিশ্বাস করছে যে এটি পারমাণবিক ইস্যুতে একটি সম্পূর্ণ চুক্তিতে যাওয়ার জন্য একটি ভালো পরিবেশের দিকে নিয়ে যাবে।' 

১৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ৫ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এরা দীর্ঘদিন ধরে ইরানের কারাগারে আটক ছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে থাকা ইরানি তহবিলের ৬০০ কোটি ডলার কাতারের আল আহলি ও দুখান ব্যাংকের ইরানি অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে মার্কিন মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া তাদের ব্যাংকে রাখা ইরানি তহবিলের ৬০০ কোটি ডলার জব্দ করেছিল। তবে মুক্তিপণ হিসেবে এই অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই অর্থ শুধুমাত্র মানবিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তাহলে এগুলো আবার জব্দ করা হবে।

একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বন্দী ৫ জন ইরানি নাগরিককেও মুক্তি দেওয়া হয়। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এবং দেশটির গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছেন। 

সূত্র: দ্য নিউ আরব