তাইওয়ান উপকূলে শতাধিক চীনা যুদ্ধবিমান!

তাইওয়ানের উপকূলীয় এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় একশোরও বেশি চীনা যুদ্ধবিমান শনাক্তের পর বেইজিংকে ক্রমাগত সামরিক উস্কানি বন্ধে জোরালো তাগিদ দিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

চীন ও তাইওয়ানের পতাকা

রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই অনুপ্রবেশের ঘটনায় এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ কর্মকাণ্ডকে ‘তাইওয়ান প্রণালী ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে অভিহিত করেছে মন্ত্রণালয়।

১০৩টির মধ্যে ৪০টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীতে মধ্যরেখা ও আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে বলে সিএনএন জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি সু-৩০ যুদ্ধবিমান, ১২টি জে-১০ যুদ্ধবিমান, চারটি জে-১১ যুদ্ধবিমান, ১০টি জে-১৬ যুদ্ধবিমান, দুটি ওয়াই-২০ জ্বালানি পরিবহন বিমান এবং দুটি কেজে-৫০০ পূর্ব সতর্কতা জারি করা বিমান।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে মনে করে। চীনা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানকে একীভূত করার লক্ষ্যের কথা জোর দিয়ে বলে আসছে কমিউনিস্ট পার্টি। এর জন্য শক্তি প্রয়োগেরও হুঁশিয়ারি করেছে তারা। তবে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ এমন বক্তব্যকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। নিজেদের সার্বভৌমত্বের কথা তারা দৃঢ়ভাবে প্রচার করে আসছে।

তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তারা ক্রমাগত প্রশিক্ষণ অব্যাহত রেখেছে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি স্থাপন যে অত্যাবশ্যক সেটি তারা প্রচার করছে।

মন্ত্রণালয় এও বলেছে, “কমিউনিস্ট সামরিক বাহিনীর ক্রমাগত হয়রানির ফলে সহজেই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার অবনতি ঘটতে পারে। আমরা বেইজিং কর্তৃপক্ষকে এর দায় নিতে এবং অবিলম্বে এমন ধরনের ধ্বংসাত্মক, একতরফা পদক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”