আপনি পড়ছেন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে জ্বালানি খাতে। এ তালিকায় রাশিয়া থেকে যেসব দেশ তেল-গ্যাস আমদানি করত তাদের অবস্থান থাকবে সবার উপরে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানি না করায় তারা এর প্রভাব থেকে মুক্ত আছে বলেই মনে করা হচ্ছিল। তবে সম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, জ্বালানি তেলে গ্রাহকদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা ক্রমেই হ্রাস পেয়েছে। বার্তা সংস্থা সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

emergency oil reserveযুক্তরাষ্ট্রের তেলের মজুদ 

সিএনএনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনের জন্য মজুত তেলের (এসপিআর) পরিমাণ ৪০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। গত দুই বছরে মজুত থেকে প্রায় ২৭ কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলন করেছে দেশটি। এর ফলে দেশটির জরুরি তেলের মজুত ১৯৮৩ সালের পর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে।

বাজার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব। এর জেরে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়ে গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের পক্ষেই বাড়তি দাম দিয়ে তেল কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বেই জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও এর বাইরে ছিল না। ফলে তেলের দাম অনেকখানি বেড়ে যায়। মূল্যস্ফীতির ধাক্কা সামাল দিতে বাইডেন প্রশাসন তাদের রিজার্ভ থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল বাজার ছাড়তে বাধ্য হয়। এতে বাজার খানিকটা স্থিতিশীল হলেও মজুতের বিশাল একটি অংশ খালি হয়ে যায়। ফলে বিভিন্ন সময়ে মজুত তেল ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র তার জ্বালানি তেলের গ্রাহকদের যে সুরক্ষা দিয়ে আসছিল, তাদের সেই সক্ষমতা কমে আসছে।

বর্তমান অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে বড় ধরনের সংকটে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল আমদানি করতে পা পারলে তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। রিজার্ভের তেলও খুব বেশি খরচ করার মতো অবস্থা নেই। আগামী বছরে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে তা ভোটের বাজারে প্রভাব ফেলবে, সে চিন্তাটাও মাথাও রাখতে হচ্ছে জো বাইডেনকে।

গোল্ডম্যান স্যাকসের তেল গবেষণা বিভাগের প্রধান ড্যান স্ট্রুয়েভেন এ বিষয়ে বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় মার্কিন প্রশাসনের হাতে খুব বেশি বিকল্প নেই। বরং জরুরি রিজার্ভ কমে যাওয়ায় চলতি বছর তেলের দাম বাড়তিই থাকবে। আগামী বছর তেলের দাম আরও বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলারে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে প্রতি ব্যারেলে দাম যাচ্ছে ৯১ ডলার, যা প্রথম প্রান্তিকে ছিল ৮১ ডলার।

এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র তেলের মজুত বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, অতিরিক্ত দামের কারণে তা বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে দেশটির জ্বালানি বিভাগ।

মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভও বিশ্বের বৃহত্তম জরুরি রিজার্ভ। গত জুলাইয়ে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী জেনিফার গ্রানহোম বলেছিলেন, আগামী কয়েক বছরের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় এখনও আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ তেল রয়েছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.