ভারতে আফগান দূতাবাসের কার্যক্রম স্থগিত

ভারতে আফগানিস্তানের দূতাবাসের সকল কার্যক্রম ১ অক্টোবর, রোববার থেকে স্থগিত করা হয়েছে। আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসার দুই বছরেরও বেশি সময় পর দূতাবাসের কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারতে আফগান দূতাবাস

ভারতসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে তাদের দেশটির শাসক হিসাবে মেনে নিয়েছে।

আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারের পতনের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত আফগান দূতাবাস এবং কনস্যুলেটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। সাবেক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কূটনীতিকরা তালেবানদের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দূতাবাস ভবন এবং সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণ অর্পণ করতে অস্বীকার করেন। 

এদিকে রোববার ভারতের আফগান দূতাবাস সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আফগানিস্তান নয়াদিল্লিতে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিচ্ছে। নয়াদিল্লিতে ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তানের দূতাবাস ১ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে তার কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে।' 

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে রাষ্ট্রদূত এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা ভারত ত্যাগ করেছেন। যারা নয়াদিল্লিতে আছেন তাদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই খবর প্রকাশের পর দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

তবে নয়াদিল্লির আফগান দূতাবাস, কর্মকর্তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কলহের খবরকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে। এছাড়া দূতাবাসের কোনো কূটনীতিক এই সংকটকে ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে আশ্রয় চাওয়ার দাবিও অস্বীকার করা হয়েছে।  

২০২১ সালের আগস্টে তালেবানরা কাবুলের কাছাকাছি চলে আসার পর ভারতীয় দূতাবাস কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে গত বছর দূতাবাস পুনরায় খোলার জন্য কূটনীতিকদের একটি ছোট দলকে আফগানিস্তানে পাঠিয়েছিল ভারত।

তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর বেশিরভাগ দেশই কাবুলে অবস্থিত তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছিল। পাশাপাশি কূটনৈতিক কর্মীদেরও প্রত্যাহার করেছিল। তবে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া তাদের দূতাবাস কখনই বন্ধ করেনি। এমনকি এসব দেশের রাষ্ট্রদূতও কাবুলে অবস্থান করছেন। 

সূত্র: এএফপি