ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা, ক্ষেপলেন রাইসি

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি চিরশত্রু ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর যে কোনও প্রচেষ্টাকে প্রতিক্রিয়াশীল এবং পশ্চাদপসরণমূলক পদক্ষেপ বলে নিন্দা করেছেন। ১ অক্টোবর, রোববার রাজধানী তেহরানে ৩৭তম আন্তর্জাতিক ইসলামি ঐক্য সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।

ইব্রাহিম রাইসি

রাইসি বলেছেন, ‘ইসলামি বিশ্বের যে কোনো সরকারের দ্বারা ইহুদিবাদী শাসকের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা একটি প্রতিক্রিয়াশীল এবং পশ্চাদপসরণমূলক পদক্ষেপ।' 

তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে যে কোনো স্বাভাবিকীকরণের প্রচেষ্টাকে বিদেশিদের ইচ্ছা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। ইরান ইহুদিবাদী ইসরায়েলি শাসকদের সঙ্গে কোনো সমঝোতা এবং আপস করবে না বলেও জানিয়েছেন।

রাইসি উল্লেখ করেছেন, আল আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিনিদের মুক্তির প্রতি মনোযোগ দেওয়া ইসলামি উম্মাহর ঐক্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূচক।

ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আপস এবং আত্মসমর্পণের মাধ্যমে শত্রুর সঙ্গে মোকাবেলা করা যায় না। বরং প্রতিরোধের মাধ্যমে শত্রুকে পিছু হটতে বাধ্য করা যায়।' 

ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য মার্কিন মধ্যস্থতায় চলমান আলোচনার মধ্যে এই মন্তব্যটি করেছেন রাইসি। ২৯ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, দুই দেশ একটি চুক্তির রূপরেখার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। রোববার একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল সৌদি আরব সফরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

এদিকে সম্ভাব্য চুক্তির আগে ফিলিস্তিনিদের আশ্বস্ত করার জন্য সৌদি আরব গত তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ২৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।

গত মাসে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে, রাইসি বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইহুদিবাদী শাসকের মধ্যে যে কোনও সম্পর্ক ফিলিস্তিনিদের পিঠে ছুরিকাঘাতের শামিল হবে।

উল্লেখ্য, শিয়া অধ্যুষিত ইরান এবং সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরব চলতি বছরের মার্চ মাসে চীনের মধ্যস্থতায় সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে সম্মত হয়। এর ফলে ২০১৬ সালের পর প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু হয়। 

সূত্র: দ্য নিউ আরব