সমালোচনার মুখে ইসরায়েলপন্থী পোস্ট সরালেন আর্সেনালের জিনচেঙ্কো

আর্সেনালের ইউক্রেনীয় মিডফিল্ডার ওলেকজান্ডার জিনচেঙ্কো তার ইনস্টাগ্রাম পেজে দেওয়া স্টোরিতে ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি এটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হন। ৮ অক্টোবর, রোববার তিনি এই স্টোরি দিয়েছিলেন।

ইউক্রেনীয় মিডফিল্ডার ওলেকজান্ডার জিনচেঙ্কো

জিনচেঙ্কো ইনস্টাগ্রামে ইসরায়েলের একটি পতাকার ছবি দিয়ে নীচের ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘আমি ইসরায়েলের সঙ্গে আছি।' সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সমালোচনার কারণে তিনি এটি সরিয়ে ফেলেন। ইনস্টাগ্রামে ইউক্রেনের এই ফুটবলারের ২৫ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। 

৭ অক্টোবর, শনিবার ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর তিনি দেশটির প্রতি সংহতি জানাতে এই বার্তাটি দিয়েছিলেন। হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত ৮শ’ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। অপরদিকে এই হামলার পর ইসরায়েল গাজাবাসীর ওপর বিমান হামলা শুরু করে। এতে এ পর্যন্ত ৫শ’ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।

জিনচেঙ্কো ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিপক্ষে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। অথচ সেই তিনি ইসরায়েলের মত দখলদার শক্তির পক্ষে কথা বলছেন। এই বিষয়টিই অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তারা তাকে ভণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছেন।

একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তার দেশ আক্রমণের শিকার হয়েছে, তারপরেও সে নিজে উপনিবেশকারীদের কীভাবে সমর্থন করছে?’ 

আরেকজন ব্যবহারকারী ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক এই খেলোয়াড়কে উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘এই লোক চায় আমরা যেন তার প্রিয় ইউক্রেনের প্রতি সহানুভূতি বোধ করি। জঘন্য।' 

এদিকে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা আর্সেনালের প্রতি তাদের ক্ষোভ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, জিনচেঙ্কোর পোস্টে ক্লাবের নীরবতা প্রমাণ করে মেসুত ওজিলের প্রতি তারা অন্যায় করেছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে উইঘুরদের গণহত্যার জন্য চীনের সমালোচনা করে টুইট করেছিলেন ওজিল। পরবর্তীতে চীনের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় আর্সেনাল জানিয়েছিল, ওজিলের মন্তব্যে তার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে। এর সঙ্গে ক্লাবের মতাদর্শের কোনো সম্পর্ক নেই। ওই ঘটনার পর আর্সেনাল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন ওজিল। 

দ্য নিউ আরব এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য আর্সেনাল এফসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোনো উত্তর দেয়নি।

সূত্র: দ্য নিউ আরব