হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক জোট গঠনের প্রস্তাব ম্যাক্রনের

ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আন্তর্জাতিক সামরিক জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) চলমান সংঘাতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সমর্থন জানাতে তেল আবিবে যান ম্যাক্রন। সেখানেই তিনি এ আহ্বান জানান। খবর বিবিসি

নেতানিয়াহু ও ম্যাক্রন

নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ম্যাক্রন বলেন, হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েল একা নয়। কারণ সন্ত্রাসবাদ ইসরায়েল ও ফ্রান্স উভয়েরই শত্রু। তাই আইএসের বিরুদ্ধে যেমন আমরা সামরিক জোট গড়ে তুলেছিলাম, হামাসের বিরুদ্ধেও আমরা তেমন একটি জোট গঠনের প্রস্তাব দিচ্ছি। ফ্রান্স আইএসের বিরুদ্ধে ইরাক ও সিরিয়াতে যেভাবে লড়াই করছে, হামাসের বিরুদ্ধে তেমনি লড়াই করতে প্রস্তুত আমরা।

বৈঠকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ম্যাক্রনের প্রস্তাবে সরাসরি মন্তব্য করেননি। তবে তিনি এ লড়াইকে অশুভ অক্ষের বিরুদ্ধে মুক্ত বিশ্বের লড়াই বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এই লড়াই শুধু আমাদের নিজেদের লড়াই নয়, এটা সবার লড়াই।

ইসরায়েলে হামাসের অভিযান

এদিকে সাধারণ কূটনৈতিক শিষ্টাচার হিসেবে ভারসাম্য রক্ষা করতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন ম্যাক্রন। পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি মন্তব্য করেন, হামাসের আক্রমণ কেবল ইসরায়েলের জন্যই বেদনাদায়ক নয়, এটি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্যও একটি বিপর্যয়।

তিনি বলেন, একটি ফিলিস্তিনি জীবন, একটি ফরাসি জীবন বা একটি ইসরায়েলি জীবনের মতোই মূল্যবান। এ সময় ফিলিস্তিনিরা যেন সবচেয়ে উগ্র সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর (হামাসের) অনুসরণ না করে- তিনি সে আহ্বান জানান। অন্যদিকে গাজার ওপর অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধ এবং ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষার জন্য আহ্বান জানানোর জন্য ম্যাক্রনকে ধন্যবাদ জানান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।

রামাল্লায় ম্যাক্রনের সফরের সময় ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা রাজপথে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং তার ছবি পুড়িয়ে দেয়। তাদের ব্যানারে লেখা ছিল, ম্যাক্রন, ইসরায়েলের প্রতি আপনার সমর্থন বন্ধ করুন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ভূখণ্ডে ঢুকে অভিযান চালায় হামাস। এর জবাবে পাল্টা রকেট ও বোমা হামলা করে গাজাকে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ লড়াইয়ের শুরু থেকেই ইসরায়েলের প্রতি শর্তহীন সমর্থন জানিয়ে আসছে ফ্রান্স।