১৫ ম্যাচ পর ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের ‘বাজে’ অভিজ্ঞতা

মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে গত ২৮ অক্টোবর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার মাঠ অলিম্পিক লুইস স্টেডিয়াম থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। কাতালান পাড়ার ক্লাবটির বিপক্ষে এই জয়ে স্বভাবতই বেশ খুশি ছিল লস ব্লাঙ্কোসরা। যদিও সে খুশি বেশদিন স্থায়ী হলো না। 

ম্যাচের একটি দৃশ্য

লা লিগায় নিজেদের সবশেষ ম্যাচে ঘরের মাঠ সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে রায়ো ভায়োকানোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ নিয়ে চলমান মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো স্পেনের শীর্ষ লিগে পয়েন্ট ভাগ করে মাঠ ছাড়ল মাদ্রিদের ক্লাবটি।

লা লিগায় টানা ১৫ ম্যাচ পর নিজেদের মাঠে গোল করতে ব্যর্থ হলো রিয়াল মাদ্রিদ। সবশেষ গত ২৯ জানুয়ারি এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল গত আসরের রানার্সআপদের। সেদিন সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল সোসিয়েদাদের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।

রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে ম্যাচের ফলাফল দেখে অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের দলগত পারফরম্যান্স বিচারের কোনো সুযোগ নেই। এদিন পুরো ৯০ মিনিট প্রতিপক্ষের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে স্বাগতিকরা। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে সফরকারী দলকে ব্যস্ত রেখেছিল গ্যালাকটিকোরা।

গোল করার মতো অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেছেন ভিনিচিয়াস জুনিয়র, জুড বেলিংহাম, জোসেলু, ফেডে ভালভার্দেরা। এতসব আক্রমণের ভিড়ে কেউই দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি। তাই ম্যাচজুড়ে কেবল হতাশা সঙ্গী হয়েছে স্বাগতিকদের।

রায়ো ভায়োকানোর সঙ্গে ড্র করে টেবিলের শীর্ষে উঠার সুযোগ হাতছাড়া করল রিয়াল মাদ্রিদ। ১২ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে অবস্থান করছে সাদা জার্সিধারীরা। দুই পয়েন্ট বেশি নিয়ে চূড়ায় আছে এবারের মৌসুমে নতুনরূপে হাজির হওয়া জিরোনা। বার্সেলোনার অবস্থান তিন নম্বরে। কাতালানদের নামের পাশে আছে ২৭ পয়েন্ট।