আপনি পড়ছেন

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ফরাসি বিচারকরা। ২০১৩ সালে সিরিয়ার ঘৌতা এবং দোমা শহরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই হামলায় ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ১৫ নভেম্বর, বুধবার একটি বিচার বিভাগীয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

bashar al assad president of syriaবাশার আল আসাদ

আসাদ ছাড়াও তার ভাই মাহের আল আসাদ এবং দুই জন ঊর্ধতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এরা হলেন জেনারেল ঘাসান আব্বাস এবং জেনারেল বাসাম আল হাসান। আব্বাস সিরিয়ার সায়েন্টিফিক স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের একটি শাখার প্রধান। এই রিসার্চ সেন্টারে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করা হয়। অপরদিকে বাসাম প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা। 

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রথমবার আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হল। ২০১১ সালে সরকারবিরোধী এক বিক্ষোভে দমন-পীড়নের পর সিরিয়াজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আসাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করেছেন।

সিরিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়া অ্যান্ড ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন (এসসিএম) ২০১৩ সালের এই রাসায়নিক হামলার জন্য ফ্রান্সের আদালতে মামলা দায়ের করে। এসসিএম এর আইনজীবী এবং প্রতিষ্ঠাতা মাজেন দারবিশ জানিয়েছেন, এটি ঘৌতায় রাসায়নিক অস্ত্র হামলার বিষয়ে জারি করা প্রথম আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।  

এদিকে সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার কথা অস্বীকার করেছে। তবে জাতিসংঘ এবং অর্গানেইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপনসের যৌথ তদন্তে দেখা গেছে, সিরিয়ার সরকার ২০১৭ সালের এপ্রিলে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একটি হামলায় সারিন গ্যাস ব্যবহার করেছে। এছাড়া রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে বারবার ক্লোরিন ব্যবহার করেছে।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দারবিশ বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সিরিয়ায় অনেক অপরাধের জন্য দায়ী। তবে বিশেষ করে সারিন গ্যাসের মত অস্ত্র ব্যবহার করে পার পাওয়া অসম্ভব। সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের জন্য প্রেসিডেন্টের অনুমোদন নিতে হয়।' 

কোনো দেশের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা বিরল ঘটনা বলা যেতে পারে। কারণ তারা বিচারবিভাগ থেকে ছাড় পেয়ে থাকেন। তবে যখন একজন রাষ্ট্রপ্রধানকে যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করা হয় তখন তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির করার নিয়ম রয়েছে। 

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বর্তমানে রাষ্ট্রপ্রধানদের বিরুদ্ধে দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। একটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে এবং আরেকটি সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধে।

সূত্র: রয়টার্স 

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.