ইউক্রেনে অস্ত্র বিক্রির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের যে অভিযোগ ওঠেছে, তা অস্বীকার করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালুচ। তিনি বলেন, আমরা আগের মতোই পুনর্ব্যক্ত করছি, পাকিস্তান ইউক্রেন বা রাশিয়া কোনো পক্ষের কাছেই অস্ত্র বিক্রি করেনি। খবর পিটিআই।

পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালুচ

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এক সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনে জাহরা বালুচ বলেন, পাকিস্তান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো পক্ষের কাছেই অস্ত্র বিক্রি করেনি। কারণ এ যুদ্ধে তারা কোনো পক্ষ নেয়নি, বরং নিরপেক্ষ অবস্থান বহাল রেখেছে।

তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে ইউক্রেনের কাছে অস্ত্র বিক্রির কথা অস্বীকার করে বেলুচ আরও বলেন, পাকিস্তান এখন যে পরিস্থিতিতে রয়েছে, তাতে চলমান এই সংঘাতের পক্ষগুলো কী কী অস্ত্র ব্যবহার করছে তা নিশ্চিত করার অবস্থানে নেই। তাই আমরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।

তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তান যেসব দেশের কাছে অস্ত্র রপ্তানি করেছে, তাদের দেওয়া নথি ইসলামাবাদের কাছে রয়েছে। সুতরাং অস্ত্র আমদানি করা এসব দেশ পাকিস্তানকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতোই অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, রাশিয়া পাকিস্তানকে তার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ফেরত দিতে বলেছে- এমন খবর ভিত্তিহীন। এমন কোনো বিষয়ে ইসলামাবাদ অবগত নয়।

এই সপ্তাহের শুরুতে একটি রিপোর্টে বলা হয়, নগদ অর্থের সংকট মেটাতে পাকিস্তান ইউক্রেনে অস্ত্র বিক্রি করছে। এ জন্য পাকিস্তান দুটি বেসরকারি মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে একটি অস্ত্র চুক্তিতে সই করে। এতে তারা ৩৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। এ ব্যাপারে যথাযথ ডকুমেন্ট আছে বলেও ওই রিপোর্টে জানানো হয়।

এসব ডকুমেন্ট অনুসারে ২০২২ সালের আগস্টে একটি ব্রিটিশ সামরিক কার্গো বিমানে করে অন্তত পাঁচবার সাইপ্রাস ও রোমানিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। এই অস্ত্রগুলোই পরে ইউক্রেনের পক্ষে ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।