ওয়েলিংটন দুই রকম অনুভূতিই দিলো তামিমকে

ওয়েলিংটন টেস্ট শেষে কেমন আছেন তামিম ইকবালরা? ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে তামিম যা বলেছেন, তার অর্থ দাঁড়ায়, খুব একটা ভালো নেই বাংলাদেশ দল। একদিকে টেস্ট হার, অন্য দিকে গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্যের ইনজুরি। তামিম অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে ওয়েলিংটন ছেড়েছেন দুই রকম অনুভূতি নিয়ে।

দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তামিমের হতাশ হওয়ার সুযোগ কম। কারণ তাকে দেখেই তরুণরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। সেই তামিমই যদি বিশ্বাস হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন, তাহলে তো বিপদ। ঘোর বিপদ!

না, তামিম আত্মবিশ্বাস হারাননি। ওয়েলিংটনে চার চারটা দিন স্বাগতিকদের চেয়ে এগিয়ে থেকেও যে হার বরণ করতে হয়েছে, তাতে যতোই হতাশ হওয়ার উপলক্ষ তৈরি হোক না কেনো, তামিম তাতে ভসে যাচ্ছেন না। বরং আত্মবিশ্বাসের রসদ খুঁজে নিচ্ছেন ওয়েলিংটন থেকে।

আলোচিত ম্যাচটির প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ তুলে ৫৯৫ রান। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোর। এতো রান করার পরও যে বাংলাদেশ হারতে পারে, সেটা কেউই ভাবেনি। তারপরও 'অনিশ্চয়তার খেলা' হারই বরণ করতে বাধ্য করেছে বাংলাদেশকে।

তামিম বলছেন, 'দেখুন, আমরা ম্যাচটা হেরে গেছি সত্য। কিন্তু ইতিবাচক অনেক দিকও কিন্তু আছে।' তামিম খোলাসা করে বলেননি, ইতিবাচক দিকগুলো কী। বলার অবশ্য দরকারও ছিলো না। কারণ বিষয়গুলো নিয়ে তো আর কম আলোচনা হয়নি।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসের পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাকিব ও মুশফিক মিলে যোগ করেন ৩৫৯ রান। টেস্টে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটির নতুন রেকর্ড। এটা নিঃসন্দেহে বড় এক ইতিবাচক দিক। সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ২১৭ রান, যা বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। ইতিবাচক দিক আরো আছে।

তারপরও ম্যাচ শেষে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের হারটাই। ইতিবাচক দিকগুলো সবাই ভুলেই গেছে। তামিম তা ভুলতে চান না। হারের কষ্টটা মেনে নিয়েই তিনি মনে রাখতে চান কেবল ইতিবাচক দিকগুলোকে।

তামিমের মতো ওয়েলিংটন টেস্ট দুই রকম অনুভূতি নিয়ে এসেছে আরো অনেকের জন্য। অনেকে হয়তো ইতিবাচক দিকগুলো মনে রাখতে পারছে না, কিন্তু তামিম পারছেন। এটাই অবশ্য বাংলাদেশের জন্য খুশির খবর। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের শেষ ম্যাচে হয়তো তামিমই নেতৃত্ব দিবেন দলকে। তার কি আর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেললে চলে?