বায়ার্নের জয়, দুর্দান্ত কেনের ইতিহাস

হ্যারি কেনের গোল আর বায়ার্ন মিউনিখের জয়। জার্মান বুন্দেসলিগার এই মৌসুমের সবচেয়ে পরিচিত দৃশ্য এটাই। রবিবার রাতে সেই দৃশ্যের মঞ্চায়ন হলো আরও একবার। এবার জোড়া গোল করলেন ইংলিশ স্ট্রাইকার। জেতালেন দলকে; গড়লেন জার্মান লিগে দুর্দান্ত এক রেকর্ড। হয়ে গেলেন লিগের ইতিহাসের বড় একটা অংশ।

জার্মান বুন্দেসলিগায় অভিষেক মৌসুমে দ্রুততম ২০ গোলের রেকর্ড গড়েছেন হ্যারি কেন

ঘরের মাঠ এলিয়েঞ্জ এরিনায় স্টুটগার্টকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। জোড়া গোল করেন কেন। দেড় মিনিটে স্বাগতিকদের লিড এনে দেন ইংলিশ ফরওয়ার্ড। বিরতি থেকে ফিরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। লিগের চলতি মৌসুমে এটা তার ২০তম গোল। তাতেই হলো রেকর্ড। লিগে অভিষেক মৌসুমে সবচেয়ে কম ১৪ ম্যাচে কুড়ি গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন কেন।

কেন ভেঙেছেন প্রায় ছয় দশক আগের রেকর্ড। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে হামবুর্গ কিংবদন্তি উয়ে সিলার ২১ ম্যাচে ২০ গোল করেছিলেন। পরে তার রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা জাগান আর্লিং হাল্যান্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি নরওয়েজান ফরওয়ার্ড। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ২০২২ সালে বুন্দেসলিগায় নিজের প্রথম মৌসুমে ২০ গোল করতে ২২ ম্যাচ লেগেছিল হাল্যান্ডের।

অবশ্য অভিষেক মৌসুমে দ্রুততম হলেও সার্বজনীন রেকর্ডে দুইয়ে উঠে এসেছেন কেন। দ্রুততম গোলের রেকর্ডটি ক্লাবের পূর্বসুরি জার্ড মুলারের দখলে। ১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে এই রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। এই রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও সামনে মুলারের কিছু রেকর্ড ভাঙার সুযোগ আছে কেনের। যে ফর্মে আছেন তিনি সেটি ভক্তদেরও আশা দেখাচ্ছে।

স্টুটগার্টের বিপক্ষে কেনের জোড়া গোলের পর স্কোরার শিটে নাম লেখান কিম মিন-জাই। ৬৩ মিনিটে স্কোর লাইন ৩-০ করেন তিনি। মিন-জাই অবশ্য আরও একটি গোল করেছিলেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার টমাস মুলারকেও একই দুর্ভাগ্য বরণ করতে হয়। ওদিকে কেন আবার হ্যাটট্রিকের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।

তবে জিতেও ঠিক স্বস্তিতে নেই বায়ার্ন মিউনিখ। কারণ, অন্য ম্যাচে ইন্ট্র্যাক্ট ফ্র্যাঙ্কফুর্টকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে জাভি আলোনসোর বায়ার লেভারকুজেন। মৌসুমের শুরু থেকে এ পর্যন্ত টানা ২৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকল তারা। যা জার্মান ক্লাবগুলোর মধ্যে মৌসুমের শুরুতে সর্বোচ্চ ম্যাচ অজেয় থাকার রেকর্ড। লেভারকুজেন ভাগ বসিয়েছে ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে গড়া হামবুর্গের রেকর্ডে।

অথচ লেভারকুজেন যাদের হারাল সেই ফ্র্যাঙ্কফুর্টের কাছে গত সপ্তাহে ঘরের মাঠে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে বায়ার্ন। তাও আবার ঘরের মাঠে। তাই জয়ে ফিরলেও আপাতত শীর্ষস্থান উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই বাভারিয়ানদের। ১৪ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট তাদের। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে লেভারকুজেন। ১৫ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে লাইপজিগ। চারে থাকা স্টুটগার্টের সংগ্রহ ৩১ পয়েন্ট। পাঁচে থাকা বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সংগ্রহ ২৬ পয়েন্ট।